নারায়ণগঞ্জ জেলায় মোট থানা রয়েছে সাতটি। এই সাত থানায় মোট ৮০০ জুয়ার স্পট আছে, প্রতিটি স্পটে প্রতিদিনই জুয়ার আসর বসে। এসব আসরে প্রতিদিন প্রায় দুই কোটি টাকার লেনদেন হয়। এ হিসাবে মাসে প্রায় ৬০ কোটি টাকা। বছরে যার পরিমাণ ৭২০ কোটি টাকা। এসব জুয়ার স্পট বন্ধে এলাকাবাসী থানা পুলিশের কাছে ধরনা দিয়েও কোনো ধরনের সহায়তা পায় না। এসব আসর থেকে পুলিশ প্রতি মাসে বড় অঙ্কের টাকা বখরা পায়, এ কারণে তারা নীরব থাকে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এ কারণে এলাকায় বাড়ছে অপরাধ।
সব স্পট থেকেই বখরা পায় পুলিশ, জনপ্রতিনিধি তথা রাজনৈতিক নেতা ও সন্ত্রাসীরা। প্রতিদিনের সংবাদের অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
নারায়ণগঞ্জের নৌ-ফাড়ি ও রেল- ফাড়ির মাত্র কয়েক গজ দূরে স্পট চলছে অবাধে জমজমাট তিন কার্ড জুয়ার আসর। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা একটি মহলের নেতৃত্বে অনৈতিকতার তিন কার্ডের জুয়া বোর্ড পরিচালনা করছে এলাকার শাহজাহানের শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এখানে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাড়াও বিভিন্ন জেলার জুয়াড়িরা খেলায় দিন-রাত বুদ হওয়ায় প্রতিদিন হাত বদল হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। জুয়ার আসরে খেলার পাশাপাশি আশেপাশের বিভিন্ন স্পটে চলছে নেশার রমরমা কারবার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ি, জঙ্গল, বড় গাছের তলা, পুকুর পাড় ও ঝোপের আড়ালে বসে জুয়ার আসর। আবার খোলা আকাশের নিচে নয়তো তাঁবু খাটিয়ে বসানো আসরও দেখা গেছে। ইঞ্জিনচালিত ট্রলার কিংবা নৌকায় বসেও জুয়া খেলতে দেখা গেছে। কখনো রাতে আবার কখনো দিনে চলে ওইসব আসর।
জানা গেছে, জনৈক শাহজাহান দীর্ঘদিন যাবৎ নারায়ণগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের কাছে বিআই ডাব্লউটির জায়গায় জমজমাট জুয়ার আসর চালিয়ে আসছে। এছাড়া জিমখানা,দেওভোগ,ভূইঘর,কালীর বাজার ও আমান ভবনে ভ্রাম্যমান জুয়ার আসর বসিয়ে প্রতি রাতে সাধারন জনগনের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বড় শাহজাহান।