রূপগঞ্জে মরিয়ম আক্তার (১০) নামের এক স্কুলছাত্রীকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাচ্চু মিয়া।
খবর পেয়ে পুলিশ বুধবার রাত ৮টার দিকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ মর্গে। উপজেলার গোলাকান্দাইল নতুন বাজার এলাকার মোমেনের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মরিয়ম কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার জালিয়া এলাকার বাচ্চু মিয়ার মেয়ে এবং শাইলজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
মরিয়মের বাবা বাচ্চু মিয়া জানান, তিনি একজন রিকশাচালক। গত চার মাস আগে তিনি রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল নতুন বাজার এলাকায় বাসা ভাড়া নেন। তার স্ত্রীও স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। কাজের তাগিদে তারা মরিয়মকে রেখে প্রতিদিন সকালে বের হন আবার রাতে বাসায় ফেরেন।
মঙ্গলবার বাড়িওয়ালা মোমেন একটি বিলে মাছ ধরতে যান। ওইখানে থেকে বাড়িওয়ালার মেয়ের সঙ্গে মাছ আনতে যায় মরিয়ম। এসময় মরিয়মের কাছ থেকে একটি মাছ পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। কিন্তু বাড়িওয়ালা ও তার পরিবার মাছ চুরি করা হয়েছে বলে শিশুটির ওপর দোষারোপ করে। বুধবার সন্ধ্যায় মরিয়মের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
মরিয়মের বাবা বাচ্চু মিয়ার বলেন, মাছ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই আমার মেয়েকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাড়িওয়ালা মোমেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যাযনি।
ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী পরিদর্শক হুমায়ন কবির বলেন, খবর পেয়ে আমরা মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে হত্যা না আত্মহত্যা বলা যাবে