শহরজুড়ে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। শহরের যত্রতত্র বাস ও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন স্ট্যান্ড করে রাখা হচ্ছে। তবে দীর্ঘদিন ধরেই শহরে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আসছে মৌমিতা পরিবহন। শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়া গোল চত্ত্বর ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের প্রবেশ মুখে রাইফেল ক্লাবের সামনে মৌমিতা বাস দীর্ঘক্ষণ স্ট্যান্ড করিয়ে যাত্রী উঠানো হচ্ছে। অথচ এর অল্প কিছু দূরেই অবস্থিত চাষাঢ়া ট্রাফিক পুলিশের বক্স। যে কারণে অভিযোগ উঠেছে ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করেই চলছে মৌমিতা নৈরাজ্য।
জানা গেছে, প্রতিদিই শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়া গোলচত্বরে কয়েকটি স্পটে একাধিক বাস দীর্ঘক্ষণ স্ট্যান্ড করিয়ে যাত্রী উঠায় মৌমিতা পরিবহন। ৫ থেকে ১০ মিনিট পর একটি বাস এসে যখন পিছনে দাঁড়িয়েছে তখনই দাঁড়ানো বাসটি ঢাকার দিকে যাচ্ছে। তারপর আবারও পরবর্তী বাসটি দাঁড়িয়ে আছে। এতে করে সারাক্ষণ মৌমিতা পরিবহনের একটি বাস দাঁড়িয়েই আছে। শুধু যে শান্তনা মার্কেটের সামনে এমনটা তা নয়। মেট্রো হল মোড় থেকে মৌমিতা ছেড়ে আসলেও খাজা মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠায়। সেখান থেকে শান্তনা মার্কেটের সামনে ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে আবারও রাইফেল ক্লাবের উল্টো পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। এতে করে
শহরের চাষাঢ়া গোল চত্বরে মৌমিতা বাস কে অবৈধ ভাবে রেখে যাত্রী উঠানামা করতে দেখা যায় ট্রাফিক কর্মকর্তাদের সামনেই।
মৌমিতা বাসের হেল্পারদের ট্রাফিক পুলিশের সাথে টাকার বিনিময় করতে দেখা যায় কিন্ত কিসের বিনিময়ে এই টাকার আদান প্রদান তার প্রশ্ন রয়েই গেলো সাধারন জনগনের।
সাংবাদিকদের দেখলেই টাকা না নিয়ে উল্টা বাসগুলো তাড়িয়ে দেন আর সাংবাদিক না থাকলেই গোপনে হেল্পার থেকে টাকা নিয়ে বাসগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেও কিছু বলেনা।
ট্রাফিক বিভাগের (টিআই-১) করিম শেখ সকাল নারায়ণগঞ্জ কে জানান এই ব্যাপারে তিনি অবগত নয় তবে উক্ত বিষয়ে তিনি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।