২০০১ সালের ১৬ জুন রাতে শহরের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে তৎকালীন সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পূর্বনির্ধারিত গণসংযোগ কর্মসূচি ছিল। ওই দিন রাত আনুমানিক পৌনে ৯টার দিকে গণসংযোগ কর্মসূচি চলাকালে বিকট শব্দে শক্তিশালী দুটি বোমা বিস্ফোরণে ২০ জন নিহত হন। আহত হন সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ শতাধিক। বিস্ফোরণে আওয়ামী লীগের অফিসের টিনের চালা উড়ে যায়। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে নিহত ব্যক্তিদের লাশ ও আহত ব্যক্তিদের রক্তাক্ত দেহ। বিকট শব্দে কেঁপে উঠে পুরো শহর। ওই বোমা হামলায় দুই পা হারান তৎকালীন জেলা কৃষক লীগের সভাপতি চন্দন শীল।
সময়টা ১৯৭৫ সাল নারায়ণগঞ্জ রাজনীতিতে আবির্ভাব পরম পূজনীয় “চন্দন শীলের”।
সেই শুরু থেকে শুরু এখনও চলেছেন দলের প্রতি বিনয়ী ও আনুগত্য রেখে।
এই চলার পথ অতটা মসৃন ছিল না,যা আমাদের ভাবায় এবং নিজের অজান্তেই উনার প্রতি শ্রদ্ধায় অশ্রু গড়ায় চোখের কোণে।
নারায়ণগঞ্জবাসী এই ত্যাগী, সদা হাস্যজ্বল,বিনয়ী নেতার জন্য এই প্রার্থনা করে।
বাবু চন্দন শীল, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে অনন্য যার অবদান,
দুটি পা সহ যা তিনি হারিয়েছেন তা হয়তো আর ফিরে পাবেনা। তবে নারায়ণগঞ্জবাসীর ইচ্ছা নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বানিয়ে তাকে সম্মানিত করার।
অবশেষে রাজনীতির নৈতিকতার হয়েছে জয়, চন্দন শীলই হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
সালাম গণমানুষের নেতা প্রিয় নেতা শামীম ওসমান,
কৃতজ্ঞতা জনক কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।
২০০১ সালে বিএনপি জামায়াতের জোট সরকার কতৃক নারায়নগঞ্জের আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলায় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান কে হত্যাচেষ্টার দিন বোমার আঘাতে দুই পা হারানো সেই চন্দন শীল।
চন্দন শীল কে নারায়নগঞ্জ জেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়ে কিছুটা ঋন শোধ করলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
অতীতে নারায়ণগঞ্জবাসীর সকল বিপদের সময় চন্দন শীল সবার পাশে ছিলেন এবং ভবিষ্যতে নারায়ণগঞ্জবাসীর পাশে থাকার অভিমত ব্যক্ত করেন।