সিদ্ধিরগঞ্জে পাঁচটি বৃহৎ কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। একই সাথে তিনটি কারখানা সীলগালাসহ দুই লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অধিকাংশ এলাকায় কিছু আবাসিকসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির ছোট বড় অর্ধ শতাধিক কারখানায় রয়েছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ। ফলে অত্র এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বৈধ গ্রাহকরা প্রতি মাসে নিয়মিত গ্যাস বিল পরিশোধ করেও গত দুই বছর যাবত ঠিকমতো গ্যাস পাচ্ছেন না।
এই গ্যাস সংকট সমাধানের দাবিতে এলাকাবাসি বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচীও পালন করেছেন। তবু এর কোন সমাধান হচ্ছে না বলে ভুক্তভোগিদের অভিযোগ।
এই গ্যাস সংকট সমাধানের উদ্দেশ্যে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে তিতাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মিজমিজি এলাকায় অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।
এসময় ডাইং, সিরামিক, প্লাস্টিক ও কয়েল কারখানাসহ পাঁচটি বৃহৎ কারখানার অবৈধ গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট নুশরাত আরা খানম।
তবে তিতাস কতৃপক্ষের দাবি, পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় অবৈধ গ্যাস ব্যবহার স্থায়ীভাবে বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কো. লিমিটেড নারায়ণগঞ্জ জোন এর উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো: রশিদ বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ একটি শিল্প এলাকা। এখানে অসংখ্য প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ নেয়া হয়েছে। এই এলাকায় আমরা ইতিপূর্বে তিনবার অভিযান চালিয়ে বিপুল সংখ্যক কারখানার অবৈধ গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করেছি।
তবে অবৈধ সংযোগ অনুযায়ী আমাদের পর্যাপ্ত জনবল নেই। যে কারণে বার বার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেও স্থায়ী কোন সমাধান হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকদের সচেতনতার পাশাপাশি আমাদের কাজে সহযোগিতায় এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।