সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ছোট-বড় প্রায় শতাধিক কারখানার উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে গার্মেন্টসহ অর্ধশতাধিক রফতানিমুখী শিল্প কারখানা গ্যাসের অভাবে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কারখানার মালিকরা। গ্যাসের চাপ কম থাকায় বাসা-বাড়ির চুলায়ও অধিকাংশ সময় গ্যাস থাকছে না।
বন্দরে বেশির ভাগ পরিবার বাসায় রান্না করতে পারছেনা।
যার ফলে ভুক্তভোগীদের বাহিরের হোটেল থেকে কিনে কিংবা রাত ১২ টার পর রান্না করে রাখতে হয়।
জানা গেছে, বন্দরে ছোট-বড় শতাধিক গ্যাসনির্ভর শিল্প কারখানা রয়েছে। গ্যাস না থাকায় কয়েক সপ্তাহ ধরে এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। এতে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো।
ভুক্তভোগী মালিকরা জানান, গ্যাস হচ্ছে কারখানার প্রধান জ্বালানি শক্তি। গ্যাস না থাকায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। কারখানা বন্ধ হলে বেকারত্ব বেড়ে যাবে। তাই গ্যাস সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে হবে। না হলে অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কারখানার মালিক জানান, প্রায় এক মাস ধরে গ্যাস সংকট চলছে। কিছুদিন ধরে এ সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সময়মতো পোশাক রফতানি করা সম্ভব হবে না। এতে বিদেশি ক্রেতা হারাবে ফ্যাক্টরিগুলো। সেই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ব্যাহত হবে।
এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানির জিএম (জেনারেল ম্যানেজার) খন্দকার জাহিদুল হক জানান, মূল সঞ্চালন লাইনেই গ্যাস সরবরাহ অনেক কম। গ্যাসের চাপ থাকার কথা ৩০০ পিএফআইজি, রয়েছে মাত্র ১৩৫ পিএফআইজি। এছাড়া বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডে সমস্যার কারণে গ্যাস সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।