সকাল নারায়ণগঞ্জ:
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সচিব, সাবেক কূটনীতিক ও কলামিস্ট মহিউদ্দিন আহমেদ আর নেই। আজ সোমবার সন্ধায় তিনি উত্তরার বাসায় মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
মহিউদ্দিন আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার তিনি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় ইউরোপের পাকিস্তান দূতাবাসগুলোতে কর্মরত বাঙালি কূটনীতিকদের মধ্যে মহিউদ্দিন আহমেদ প্রথম পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেন। ১৯৭১ সালে তিনি লন্ডনের পাকিস্তান হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিবের সেকেন্ড সেক্রেটারির পদ ছেড়ে দিয়ে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর নেতৃত্বে যুক্তরাজ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সার্বক্ষণিক কাজ করেছেন।
মহিউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
মহিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সুসম্পর্কের স্মৃতিচারণা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মহিউদ্দিন ভাই ছিলেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের একজন অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা।’ তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে মহিউদ্দিন আহমেদের অবদান অবিস্মরণীয়। বিশেষ করে ১৯৭১ সালে লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে এক সমাবেশে সরকারি চাকরির মায়া ত্যাগ করে মহিউদ্দিন আহমেদ পাকিস্তানের পক্ষত্যাগের সাহসী ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং ইউরোপে তিনিই প্রথম পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করা বাংলাদেশি কূটনীতিক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাবেক কূটনীতিক মহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে দেশ এক অমূল্য সম্পদ-ব্যক্তিকে হারাল।