সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি শেখ মো. এনামুল হককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।শনিবার (১৮ জুন) রাতে, রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আনম ইমরান খান জানান, বহুল আলোচিত গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে রেখে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শেখ মো. এনামুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (১৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১ টায় রাজধানীর কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান তিনি।
এর আগে গত ২৫ মে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা ও রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এবং একাধিক মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জঙ্গি সংগঠন হুজি-বি’র প্রতিষ্ঠাতা আমীর মুফতি আব্দুল হাই’কে (৫৭) গ্রেপ্তার করে র্যাব।সেসময় র্যাব জানায়, ২০০০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ায় জনসভার অদূরে জঙ্গি মুফতি আব্দুল হাইসহ তার অপরাপর জঙ্গি সদস্যগণ তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখার ঘটনায় কোটালীপাড়া থানায় বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ০২টি মামলা রুজু হয়।
তদন্ত শেষে উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরবর্তীতে দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট গ্রেপ্তারকৃত মুফতি আব্দুল হাইসহ ১০ জন মৃত্যুদণ্ড এবং ৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।র্যাব কর্মকর্তারা বলেন, ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় প্রকাশ্য দিবালোকে জঙ্গিদের অতর্কিত বোমা হামলায় ১০ জন মৃত্যুবরণ করেন এবং আরও অনেকে আহত হন। উক্ত ঘটনায় রমনা থানায় একটি হত্যা মামলাসহ বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা রুজু করা হয়। হত্যা মামলাটির বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন বিজ্ঞ আদালত ০৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ০৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। অপরদিকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে রুজুকৃত মামলাটি বিজ্ঞ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারাধীন রয়েছে।
২০০০ সালে কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের জন্য মঞ্চ নির্মাণের সময় মাটিতে পুঁতে রাখা ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পাওয়া যায়। পরদিন ৪০ কেজি ওজনের আরও একটি বোমা উদ্ধার করা হয় কোটালীপাড়ার হেলিপ্যাড থেকে।ওই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা, হত্যার ষড়যন্ত্র এবং বিস্ফোরক আইনে কোটালীপাড়া থানায় তিনটি মামলা করে পুলিশ।