সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওর্য়াডস্থ মাদ্রাসার রাস্তা নির্মান কাজে চরম অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জনগণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিনে গিয়ে অনিয়মের চিত্র দেখা মিলে। মদনপুর ২ নং ওর্য়াডের সাইরা গার্টেন হতে জামিয়া রশিদিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত ইট সলিংয়ের কাজে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ বন্দর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মমিনুল হক কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মমিনুল হককে এলাকাবাসী জানালে তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে দ্রুত অফিসের লোক পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। বৃষ্টির সময়ও ঠিকাদার সোহেল মেম্বার কাজের গতি আরো বাড়িয়ে দেয়। এলাকার লোকজনের চোখের আড়ালে যতটুকু করা যায় সে হিসাব করে। এতে এলাকাবাসীর হাত থেকে রক্ষা পায়নি ঠিকাদার ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওর্য়াড মেম্বার সোহেল রানা।
কাজের অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ নিয়ে সোহেল রানাকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেও পরে ফোন রেখে দেন। তবে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওর্য়াড মেম্বার সোহেল মিয়া কাজের বিষয়ে কোন কিছু জানেন না। শুধু কাজের উদ্বোধনী দিনে উপস্থিত ছিলেন।এলাকাবাসীর অভিযোগ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ রশিদ নিজ উদ্যোগে কাজটি সরকারি ভাবে পাশ করিয়াছে। প্রায় ১২-১৪শ’ ফুটের ইট সলিংয়ের এ রাস্তাটির কাজ পান সোহেল রানা। কাজে সবচেয়ে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করছে। আমরা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানিয়েছে। তিনি লোক পাঠিয়ে সত্যতা পেয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়ে গেছে।
মাদ্রাসার রাস্তাটি নির্মাণে অনিয়ম ও দূর্ণীতির বিষয়ে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কুদরত এ খুদা বলেন, রাস্তার কাজটির কি অবস্থানে আছে পারলে ছবি থাকলে দেন। আমি অফিস থেকে লোক পাঠিয়ে তা তদন্ত করে দেখবো।
বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ রশিদ বলেন, মাদ্রাসা একটি দ্বীন ইসলামের প্রতিষ্ঠান। এ রাস্তা নির্মাণেও অনিয়ম ও দূর্ণীতি করে কিভাবে।
কাজে ব্যবসা করতে হবে ঠিক আছে তাই বলে মানবিক দিকে বিবেচনা করবে না। রাস্তাটি ইট সলিংয়ের কাজে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সরকারি ভাবে। অনিয়ম ও দূর্ণীতির বিষয়টি দেখছি। সত্যতা পেলে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।