সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
কম বা বেশি দামি—সব ধরনের সিগারেটের দাম বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে বাড়ছে বিড়ির দামও। ২০২২–২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেট ও বিড়ির শুল্ক কর বাড়ানো হয়েছে। আর তাতেই বিড়ি–সিগারেটের দাম বাড়তে পারে। সিগারেট ও বিড়ির পাশাপাশি ধোয়াবিহীন তামাকজাত পণ্যের দাম বৃদ্ধিরও প্রস্তাব করা হয়েছে।
নারায়নগঞ্জ শহরের বেশিরভাগ এলাকার দোকানে বিভিন্ন ব্রান্ডের তামাকজাতপন্য স্টক করে রাখতে দেখা যায়। যার নাকি বেশিরভাগ প্যাকেটেই মেয়াদউর্ত্তিন তারিখ চোখে পড়ে।
নারায়ণগঞ্জ শহরের কালিরবাজার, ফলপট্টি এলাকায় বেশ কিছু পাইকারি দোকানে এই সিগারেট স্টকে রেখে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে দ্বিগুন দামে বিক্রি করছে।
গ্রাহকদের দাবি,বেশির ভাগ দুকানে সিগারেট স্টকে রেখে তাদের কাছে দাম বেশি দিয়ে বিক্রি করছে। অনেকে বেশি দামে কিনে মোড়কে মেয়াদউর্ত্তীনের তারিখ দেখতে পায়।
প্রস্তাবিত বাজেটে কম দামি ১০ শলাকার দাম ৪০ টাকা ও তদুর্ধ্ব এবং সম্পূরক শুল্ক ৫৭ শতাংশ ধার্যের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া মাঝারি মানের ১০ শলাকার দাম ৬৫ টাকা ও তদুর্ধ্ব, এবং বেশি দামি ১০ শলাকার দাম ১১১ টাকা ও তদুর্ধ্ব, খুব বেশি দামি ১০ শলাকার দাম ১৪২ টাকা ও তদুর্ধ্ব এবং এই তিনটি স্তরের সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আগের বছর গুলোর মতো যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া হাতে তৈরি ফিল্টার বিযুক্ত বিড়ির ২৫ শলাকার দাম ১৮ টাকা, ১২ শলাকার দাম ৯ টাকা ও আট শলাকার দাম ৬ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফিল্টার সংযুক্ত বিড়ির ২০ শলাকার দাম ১৯ টাকা ও ১০ শলাকার দাম ১০ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৪০ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে এ বাজেটে।