সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (ডিআইজি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন ‘বাংলার সিংহাম’ খ্যাত আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা ও নারায়ণগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) পদমর্যাদার ৩২ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) করার প্রজ্ঞাপন বুধবার (১১ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে হয়।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বর্তমানে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগের উত্তর ও সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একমাস আগে হারুন অর রশীদ নারায়ণগঞ্জের এসপি হিসেবে যোগদান করেছিলেন।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ১১ মাস নারায়ণগঞ্জে দায়িত্ব পালনকালে সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি, ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজসহ সকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিলেন। হকার, অবৈধ দখল উচ্ছেদ, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণসহ তার নেওয়া নানান জনবান্ধব পদক্ষেপগুলোও প্রশংসিত ছিল। যেকোন সমস্যার সমাধানের জন্য জনসাধারণ তার কার্যালয়ে সরাসরি গিয়ে তার সাথে কথা বলতেন এবং তিনি সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অথবা দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে আদেশ দিয়ে সমস্যার সমাধান করে দিতেন। যার ফলে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের ছবিসহ ব্যানার সাঁটিয়েছিলেন তার কর্মকাণ্ডে খুঁশি হওয়া সাধারণ মানুষ। সেসব ব্যানারে তাকে বলিউডি সিনেমার নায়কের সঙ্গে তুলনা করে নারায়ণগঞ্জের জনসাধারণ উপাধি দিয়েছিলেন বাংলার সিংহাম।
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ যোগ্যতা, দক্ষতা, ত্যাগ ও নিষ্ঠার পুরষ্কার হিসেবে ৩ বার বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) ও ২ বার প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম) পদকে ভূষিত হন।
হারুন-অর-রশীদ কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার হোসেনপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবদুল হাসেম, মাতা জহুরা খাতুন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স, এমএসএস, এলএলবি (জাবি) শিক্ষাজীবন শেষ করেন হারুন।
১১ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসের সই করা প্রজ্ঞাপনে দেখা গেছে, হারুন অর রশীদ ছাড়াও নারায়ণগঞ্জের সাবেক আরো ৩ এসপি ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। তারা হলেন সৈয়দ নুরুল ইসলাম, মো. আনিসুর রহমান, মঈনুল হক।