সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ হতে মালয়েশিয়া প্রবাসী একজন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
মালয়েশিয়া প্রবাসী জনৈক ব্যক্তি র্যাব-১১ তে দাখিলকৃত লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন যে, মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশী মোঃ তরিকুল ইসলাম মালোশিয়ায় অবস্থানকালে বিভিন্ন প্রবাসী ভাইদের ওয়ার্ক পারমিট, ভিসা, পাসপোর্ট ইত্যাদি করিয়ে দেওয়ার কথা বলে হাজার হাজার মালয়েশিয়ান রিংগিত প্রতারণপূর্বক গ্রহণ করে কিন্তু তার সকল তথ্য (নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা, ব্যক্তিগত নম্বর, জন্ম তারিখ ইত্যাদি) মিথ্যা হওয়ায় দীর্ঘদিন তাকে গ্রেফতার করা বা আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয় নি। তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তি আরও জানান, উক্ত প্রতারক প্রতারণা লব্ধ অর্থ নিয়ে নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানার পাঁচানি এলাকায় অবস্থান করছে।
অভিযোগ প্রাপ্তির পর ব্যাটালিয়ন সদর তদন্তে নামে এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীর অবস্থান সুনির্দ্রটিভাবে সনাক্ত করে নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন শিমরাইল সাকিনস্থ ঢাকাগামী মহাসড়কের দক্ষিণ পার্শ্বে নারায়নগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ অফিসের পাশে ফুট ওভার ব্রিজের নীচ এলাকা হতে আসামী মোঃ তরিকুল ইসলাম কে আটক করে। তরিকুল ইসলামের কাছে তার পাসপোর্ট, মালয়েশিয়ায় তার ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং সেখানকার পার্মানেন্ট রেসিডেন্সিশিপ কার্ড পাওয়া যায়।
তার কাছে প্রাপ্ত পাসপোর্টে প্রদত্ত তথ্য স্থানীয়ভাবে যাচাই-বাছাই শেষে জানা যায় যে, পাসপোর্টে উল্লেখিত আসামীর নাম , পিতার নাম, মাতার নাম এমনকি পাসপোর্টে উল্লেখিত জন্ম তারিখ এবং জন্ম নিবন্ধন নম্বর সবই মিথ্যা। জানা যায়, আসামীর প্রকৃত নাম ওসমান গনি ডালিম। সে সম্পূর্ণ মিথ্য তথ্য প্রদান করে এ পর্যন্ত মোট ০৫ টি পাসপোর্ট তৈরী করেছে। সর্বশেষ পাসপোর্টটি সে গত ২০২১ সালের ০৯ মার্চ পাসপোর্ট ও ভিসা উইং, বাংলাদেশ হাই কমিশন, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া হতে গ্রহণ করে। উক্ত পাসপোর্টে তার জন্ম নিবন্ধন নম্বর দেয়া থাকলেও বাস্তবে ঐ জন্ম নিবন্ধন নম্বরের বিপরীতে কোন তথ্য পাওয়া যায় নি।
তাকে জিঙ্গাসাবাদে জানা যায়, সে মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকায় মালয়েশিয়ান সরকার মালয়েশিয়ায় তার অবস্থান নিষিদ্ধ করে এবং তার পাসপোর্ট বাতিল করে দেয়। তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য মালয়েশিয়ান সরকার তাকে খুঁজতে থাকে। আসামী বিষয়টি বুঝতে পেরে সম্পূর্ণ নতুন নাম পরিচয় দিয়ে নতুন পাসপোর্ট তৈরী করে। পরবর্তীতে সে এই তথ্যের ভিত্তিতে মালয়েশিয়ায় ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং স্থায়ী রেসিডেন্সশিপ কার্ড ইত্যাদি সংগ্রহ করে। এইভাবে সে প্রায় দুই যুগ অবাধে মালয়েশিয়া অবস্থান এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম করে আসছে।
ধৃত ওসমান গনি ডালিম এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।