স্টাফ রিপোর্টার (আশিক): নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন পাঠানটুলী নতুন আইলপাড়ায় সংঘটিত চাঞ্চল্যকর ও নৃশংস “তানিয়া হত্যাকাণ্ডের” মূল হত্যাকারী “শাহপরান রুবেল”-কে নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
গত ১৪ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঠানটুলি এলাকায় একটি বাড়ির সামনে বাড়ির ভাড়াটিয়া তানিয়া(২৩) নামক এক তরুণীর গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় শাহপরান রুবেল(৪০) ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন; মামলা নং- ৩৩, তারিখঃ ১৫ ডিসেম্বর ২০২১। এই ঘটনা জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশিত হয় এবং ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহসহ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে র্যাব-১১ এর একটি গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) র্যাব-১১ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলার খানপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর ও নৃশংস তানিয়া হত্যা মামলার হত্যাকারী শাহপরান রুবেল কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, হত্যাকারী শাহপরান রুবেল দীর্ঘদিন যাবৎ পাঠানটুলি এলাকায় বসবাস করে আসছে এবং ভিকটিম তানিয়া একই এলাকায় বসবাস করত। ভিকটিম তানিয়ার প্রতি আগে থেকেই আসামি রুবেলের কুদৃষ্টি ছিল। উল্লেখ্য যে আসামি রুবেলের একাধিক স্ত্রী রয়েছে ও পর-নারীতে আসক্ত। সে পূর্বে ভিকটিম তানিয়ার পিতার নিকট তানিয়াকে বিবাহের প্রস্তাব দেয় যা ভিকটিম তানিয়ার বাবা প্রত্যাখ্যান করে। এরপরও সে মাঝে মধ্যেই ভিকটিম তানিয়াকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। গত ১৪ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ০৮.০০ ঘটিকায় সে ভিকটিমকে বাসায় একা পেয়ে অনুপ্রবেশপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। ভিকটিম তাতে বাধা দিলে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ভিকটিমের বাসায় থাকা একটি ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি ভিকটিমের পেটে ছুরিকাঘাত করে। অতঃপর শাহপরান রুবেল (৪০) উক্ত অপকর্ম ধামাচাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ভিকটিম তানিয়ার গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে।