1. sokalnarayanganj@gmail.com : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. skriaz30@gmail.com : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
মৃত্যুও ছাড়াতে পারেনি মায়ের বাঁধন - সকাল নারায়ণগঞ্জ
শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ০৬:২৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বন্দরে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী গাজীর বাড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযান, মাদক ও অস্ত্রসহ ২ জন আটক হাসপাতালে ভর্তি জাহিদ হাসান এখন কেমন আছেন হেরেও ভারতের ওপরে বাংলাদেশ নতুনধারার ২৫ তম ঈদখাদ্য প্রদান কর্মসূচি না:গঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানা পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শ্রমজীবি মানুষদের মাঝে সাবেক কাউন্সিলর শকুর ছাতা বিতরণ  নারায়ণগঞ্জবাসীকে পবিত্র ঈদ উল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাইফান তালুকদার নারায়ণগঞ্জবাসীকে পবিত্র ঈদ উল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাইফান তালুকদার নারায়ণগঞ্জবাসীকে পবিত্র ঈদ উল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জামাল তালুকদার খানপুরে পবিত্র ঈদ উল আযহার ২টি জামাত অনুষ্ঠিত

মৃত্যুও ছাড়াতে পারেনি মায়ের বাঁধন

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল, ২০২১
  • ২০৭ Time View

সকাল নারায়ণগঞ্জ:

স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)

পৃথিবীর মধ্যে মায়ের ভালবাসার যেন কোনো তুলনা হয় না। সকল ভালবাসাতে স্বার্থ থাকলেও মায়ের ভালবাসায় কোনো স্বার্থ থাকে না। একমাত্র মা-ই স্বার্থ ছাড়া ভালবেসে থাকেন তার সন্তানকে। শত কষ্টের মাঝেও মা তার সন্তানের গায়ে একফোঁটা আঁচড় লাগতেও দেয় না।

এমনই একটি বাস্তব চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধারের সময়। যেন মৃত্যুও ছাড়াতে পারেনি মায়ের বাঁধন। মা পরম মমতায় তার সন্তানকে আগলে রেখেছেন। ‘আমি যখন লাশগুলো লঞ্চ থেকে নামাচ্ছিলাম, তখন আমি এমন একটা লাশ নামাই যে লাশ দেখে আমি খুবই মর্মাহত হয়ে যাই। আমি দেখি মা মেয়ে এক সাথে জড়িয়ে ধরে আছে।

মারা যাবার সময় মা মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরে রেখেছিল তাই আমি মা মেয়েকে আলাদা করি নাই। মায়ের বুক থেকে মেয়েকে আলাদা করি নাই। আমারও তো মা বোন আছে… এ দৃশ্য দেখে আমি কান্না থামিয়ে রাখতে পারি নাই।’

সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ১টায় শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় ডুবে যাওয়া ‘সাবিত আল হাসান’ নামের লঞ্চটির ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার করতে গিয়ে কোস্ট গার্ডের ডুবুরী মাঈনুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তবে উদ্ধারের পর লাশের পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

মায়ের নাম তাহমিনা (২০)। আর বুকে জড়িয়ে রাখা সন্তান এর নাম আব্দুল্লাহ (১)। তিনি বলেন, ‘আজকে (সোমবার ৫ এপ্রিল) যখন লঞ্চটি উপরে উঠানো হয় তখন লঞ্চের ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার করতে গিয়ে দেখতে পাই একজন মা তার শিশু সন্তানকে জড়িয়ে ধরে আছে। দেখেই আমার শরীর শিউরে উঠে। এতো লাশ উদ্ধার করি কখনো এমন হয়নি আজ বুকটা কেঁপে উঠলো।

এছাড়াও লঞ্চের ভেতরে লাশগুলো একজন আরেকজনকে ধরে রেখেছে।’ এ কথা বলেই তিনি কান্না করে দেন। স্বজনরা জানান, ‘তাহমিনার একমাত্র সন্তান আব্দুল্লাহ। স্বামী হাবিবুর রহমানও তাদের সঙ্গে পানিতে ডুবে মারা গেছেন।

মূলত হাবিবুর রহমান তার স্ত্রী তহমিনা ও একমাত্র সন্তান আব্দুল্লাহকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে বসবাস করতো। লকডাউন ঘোষণা করায় গ্রামে চলে যাচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই আল্লাহ তাদের নিয়ে গেলো। পরে তিনজনের লাশ নিয়ে গ্রামে একই সঙ্গে কবর দেন তাঁরা।’

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL