সকাল নারায়ণগঞ্জঃ কথায় আছে বন্যেরা বনেই সুন্দর শিশুরা মাতৃৃকোলে। যাকে যেখানে মানাই তাকে যদি সেখানে না রাখা হয় তাহলে কাজের অগ্রগতি কিভাবে হবে? প্রশাসনের রদ বদলে জেলায় দেখা গেছে যোগ্য ব্যাক্তিকে সড়িয়ে বিড়ালের গলায় ঘন্টা পড়িয়ে দিতে। ময়মনসিংহ জেলার কৃতি সন্তান মিজানুর রহমান মিজান পুলিশ বাহিনীর যোগদানের পর হতে বিভিন্ন জেলায় দক্ষতার সহিত কাজ করেছেন। ২০০৮ সালে তিনি ফতুল্লা থানায় সাব ইন্সপেক্টর পদে দায়িত্বতার সহিত কাজ করেন, পরবর্তিতে তিনি সেকেন্ড অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে অত্র থানায়।
২০১২ সালে তিনি সম্মানের সাথে বদলী হন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় সেখানেও ২টি বছর দুজন দক্ষ ওসির সাথে কাজ করেছেন। সদর থানায় সেকেন্ড অফিসার পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় ওসি তদন্ত পদন্নতি পেয়ে বদলী হন আড়াই হাজার থানায় এর পর ঢাকার এসবিতে দের বছর কাজ করার পরে পুনরায় তাকে বদলী করা হয় নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় ওসি তদন্ত হিসেবে। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি তাকে সদর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ করা হয় কোন বড় ধরনের কারণ ছাড়াই। এ বিষয়ে জানা যায় তিনি ভাল মানুষের সাথে সুম্পর্ক বজায় রাখতেন অযাথা কারো মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খেতেন না ,এ কারনেই বির্তকিত পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ তাকে দায়িত্বশীল পদ হতে সড়িয়ে নিজ বলয়ের অফিসারকে দায়িত্ব দেন তারস্থলে।
এ নিয়েও সাধারণ মানুষ ও জেলাবাসীর মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করতে দেখাগেছে। পুলিশ বাহিনীর এক উজ্জল নক্ষত্র মিজানুর রহমান মিজান শিক্ষা দিক্ষায় ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজ হতে সাধারণ ইতিহাস ও ইসলামের ইতিহাস সাবজেক্টে মার্ষ্টাচ পাশ করেছেন। পুলিশ বাহিনী যোগদানের পরও থেমে থাকেনী তার অন্যান্য অধ্যায়নরত লেখা পড়া।
২০০৮ সাল হতে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার পত্রিকার শিরোনাম তৈরী হয়নি যে, তিনি কোন অপরাধের অপরাধি। জেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন রাখতে তার ভুমিকা ছিল অপরিসিম। বিভাগীয় সিনিয়রদের পরামর্শে অপরাধিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন মিজানুর রহমান মিজান। মাদক,ইভটিজিং সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া মিজান এক সময় আলোচিত হয়ে উঠে জেলাবাসীর কাছে। ঠান্ডা প্রকৃতির এই পুলিশ কর্মকর্তা সব কিছুই ঠান্ডা মেজাজে করে থাকেন, রেগে গেলে অপরাধীও ছার পায়না তার হাত থেকে। তিনি বলতেন বুঝের মাধ্যমে সমাধান হলে ভাল, তানাহলে অপরাধিদের আইনের আওতায় আনা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। অন্যায় করে কেউ আইনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি, আইন তার নিজেস্ব গতিতে চলে তাই অপরাধিদের বুঝতে হবে দেশে আইন আছে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বর্তমান সরকার অপরাধ করলে কাউকে ছার দেয়না । অবশেষে মঙ্গলবার ৩রা ডিসেম্বর উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্শেশের পর ফতুল্লা মডেল থানায় পুনরায় ওসি তদন্ত হিসেবে যোগদান দেওয়া হয়েছে মিজানুর রহমান মিজানকে। মিজানুর রহমান তিনি নারায়ণগঞ্জে প্রথম কর্মরত জায়গায় ফিরে যাওয়ায় স্বাগত জানিয়েছেন সমাজের সকল স্তরের ব্যাক্তি ও ফুতুল্লাবাসী। থানাবাসী মনে করেন অপরাধিদের বিরুদ্ধে তার অবস্থান থাকবে সব সময় আপোষহীন।