সকাল নারায়নগঞ্জঃ নাঃগঞ্জ বন্দর ২৩ নং ওয়ার্ড নাসিক কাউন্সিলর “সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান” মরহুম বারেক সরদারের ৩য় পুত্র। বারেক সরদার ছিলেন বন্দর এলাকাবাসীর অতি পরিচিত এবং ২৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার। ১৯৮৪ সালে বারেক সরদার পৌর নির্বাচনে ২৩ নং ওয়ার্ডে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়। কমিশনার থাকা কালীন তিনি অসহায় মানুষদের পাশে দাড়িয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বীর সেনাদের খেদমত করেছেন। ১৯৯৯ সালে বারেক সরদারের মুত্যু হয় । মুত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি আওয়ামীলীগের একজন শুভাকাঙ্খী ছিলেন।
২৩ নং ওয়ার্ডের দুই ২ বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম বারেক সরদারের সুযোগ্য সন্তান সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান। দুলালকে ঘীরে শুরু হয়েছে আবারও ষড়যন্ত্র । কিছুদিন আগে তার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রিমহল পুলিশকে লেলীয়ে দিয়ে তাকে গ্রেফতার করে বানানো হয় মাদক ব্যবসায়ায়ী। উক্ত বিষয়টি ষড়যন্ত্র মুলক এবং সাজানো নাটক বিজ্ঞ আদালত শুনানীর পর তাকে এক পর্যায়ে জামিন দেয়। জামিনের পর হতেই অশুভশক্তি ফাঁদ পাতে তাকে ঘায়েল করতে তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশনের সদস্য ফরম থেকে তাকে বঞ্চিত করে নীলনক্সা আঁকে। অভিযোগ উঠেছে ২৩ নং ওয়ার্ডের একজন রানিং কাউন্সিলর ও সাবেক ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এর পর তিনি মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক হন সেখানে কিভাবে তাকে বাদ দেওয়া হয় ? সুত্রে আরো জানা যায় বাদ দেওয়ার বিষয়টি মহানগর আওয়ামীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নির্দেশে তাকে ফরম দেয়া হয়নি এবং তার মাধ্যমে ফরম বিতরণ না করার নির্দেশনা দেওয়া হয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে। এ নিয়ে সাধারণ জনগনের মাঝে নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
দুলাল প্রধান যদি আওয়ামীলীগের কেউ না হন, তাহলে তাকে দিয়ে বিগত দিনে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন কর্মসূচি কেন বাস্তবায়ন করানো হলো ? ইতি পূর্বে সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধানকে দেখা গেছে আওয়ামীলীগের বড় বড় কর্মসূচিতে বিশাল মিছিল নিয়ে সভা সভাবেশে যোগদান করতে সেইসাথে সমাবেশকে সাফল্যমন্ডিত করার লক্ষে জোরাল ভুমিকা রাখতে। তার নিরলস ভুমিকায় এক সময় আওয়ামীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা প্রসংশায় পঞ্চমুখ তাহলে আজ কেন তার বিরুদ্ধে এতো ষড়যন্ত্র ? ২৩ নং ওয়ার্ডবাসীর মাঝে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি সিনিয়র নেতারা দুলালকে ব্যবহার করেছে ফায়দা লুটার জন্য ? আজ যারা তাকে বহিস্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা ২৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে কতটুকু ভুমিকা রেখেছে তা জনসাধারনের অবগত আছে।
এ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর দুলাল প্রধান বলেন, আমি দীর্ঘদিন আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। ১৯৯৩ সালে তুলারাম কলেজে ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে একজন কর্মী হয়ে কাজ করেছি। কাজের তাগীদে আমি ৫ বছর বিদেশে অবস্থান করি এরপর দেশে ফিরে পুনরায় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠি। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া সকল কর্মসূচী বাস্তবায়নে জোরাল ভুমিকা রেখেছি, রাজ পথে থেকে বিরোধী দলের সকল কর্মসূচি দমন ও মোকাবেলা করেছি। প্রতিহত করেছি ষড়যন্ত্রকারীদের, যারা দেশটাকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা চালাচ্ছিল তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছি। জননেতা শামীম ওসমানের একজন সাধারণ কর্মী হয়ে রাজনীতি করে যাচ্ছি আগামীতেও করে যাব ইনশাল্লাহ।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমাকে যারা মাদক ব্যাবসায়ী আখ্যাদিয়ে বহিস্কারের দাবি জানিয়েছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি সব সময় মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে, কেন আমাকে নিয়ে এতো ষড়যন্ত্র চলছে ? আমি কারো পাকা ধানে মই দিয়েছি কি ? আমার ব্যাক্তিগত ইমেজ নষ্ট করতে যারা উঠে পরে লেগেছে তারা প্রমান করুক আমি খারাপ তাহলে চ্যালেঞ্জ করছি, আমাকে যে শাস্তি দেওয়া হবে তা মাথা পেতে নেব। তিনি আরো বলেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে আমাকে সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করতে উঠে পরে লেগেছে একটি মহল। তাদের বুঝা উচিৎ আমি জনগনের ভোটে নির্বাচিত একজন জনপ্রীয় কাউন্সিলর। আমার ব্যাক্তিগত ইমেজ না থাকলে কখনও জনপ্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেতাম না।