সবই হয় কিন্তু আসল জিনিসটাই হয় না। কর্মসূচি হচ্ছে আপনারা আসবেন, জানবেন, তারপরে চলে যাবেন। যার যা করণীয় তা যদি সময় মতো আপনারা না করেন। তাহলে এই কর্মসূচি সফল হবে কী ভাবে? সকলকে বলছি এখান থেকে যে মেসেজ নিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে গিয়ে চোপ করে মুখ বুঝে বসে থাকবেন না। আপনাদের ১০০% দিয়ে কাজ করবেন।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১১ টার নারায়ষগঞ্জ চাঁনমারিস্থ হিমালয় কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচি উপলক্ষ্যে নারায়নগঞ্জ সিভিল সার্জন আয়োজনে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়নগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, উন্নয়নের নামে নতুন কিছু দূর্যোগের সৃষ্টি করছি। বিল্ডিং তৈরি করছি কিন্তু সে বিল্ডিং এর কারণে নতুন প্রজম্মের ৫ জনকে হারাতে হয়েছে। সে জায়গা গুলোতে আমাদের কাজ করতে হবে। মনে রাখবেন, আপনার আমার ছোট ছোট ব্যর্থতা ও আমাদের মাঝে সমস্যা সৃষ্টি করে বড় র্দূযোগ ঘটাতে পারে। নারায়ণগঞ্জের যে সকল দূযোর্গ রয়েছে তা যদি পরিত্রাণে আমরা জয় লাভ করতে পারি তাহলে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ একটি র্দূযোগ মুক্তি উন্নত পরিবেশে পরিণত হবে।প্রাথমিক স্কুল গুলোতে বেশি করে যক্ষা সচেতনতার ব্যবস্থা করতে হবে বাচ্ছাদের সাথে অভিবাবক রেখে এর ফলে সকলকে সচেতন করা সম্ভব হবে এবং সচেতন করার জন্য সকলকে বিভিন্ন ভাবে প্রচার- প্রচারণার মাধ্যমে যক্ষ্মা প্রতিরোধ করতে হবে।এনজিও গুলোকে বেশি করে এগিয়ে আসতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, একজন ওপেন কেসের লোক ১০জন লোককের মাঝে এই রোগ ছড়িয়ে দিতে পারে।এই রোগের চিকিৎসা যদি আমরা তাড়াতাড়ি না করাতে পারি তাহলে এ থেকে আমরা পরিত্রান পাবো না।তাই যারা এই রোগে অসচেতন তাদের সচেতন করতে হবে। তাদের চিকিৎসার আওয়াতাধীন আনতে হবে। তা না হলে এসকল রোগ র্নিমূল করা সম্ভব হবে না। বর্তমানে লাখ প্রতি ২২১ জন রোগী। বিভিন্ন রকমের প্রচার-প্রচারণা, তাদের মনোবল ও সাহস যোগীয়ে চিকিৎসার আওয়াতায় আনা যায়। তাহলে ২০৩০ সালের মধ্যে লাখ প্রতি ৯% নিয়ে আসতে পাড়বো।
কর্মশালায় নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মোঃইমতিয়াজের সভাপতিত্বে ও নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড.মোঃজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন,জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির বিভাগীয় যক্ষ্মা বিশেষজ্ঞ ডা. আহমেদ পারভেজ জাবীন, ঢাকা মহাখালি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এএসপি টিবিএল লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা, আবু জাহের, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহিন্দ্র কুমার মন্ড, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. বসির উদ্দিন, সহকারী কমিশনার মো. জাকির হোসেন, জেলা ইপিআই সুপার মো. লুৎফর রহমান, সিভিসার সার্জন অফিসের পিও মো. আলতাফ হোসেন, জেলা স্বাস্থ্য অফিসার স্বúন কুমার দেকনাথ সহ ইসলামী ফাইন্ডেশনের প্রতিনিধি, জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা, ব্রাক ব্যাংকের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন বিশেষঞ্জ চিকিৎসকবৃন্দরা।