সকাল নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানতলী পানিরকল স্থানীয় এলাকার সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এইচ এম আমজাদ হোসেন (২৬) নামের নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত অগ্রবাণী প্রতিদিন পত্রিকার ফটো সাংবাদিক আমজাদকে এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে ক্যামেরা, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার সহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করার অভিযোগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলার দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার স্বীকার ফটো সাংবাদিক বাদী হয়ে এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-৬১/৭৬২, তারিখ ২৯/১০/২০১৯ইং।
মামলার বিবরনে আমজাদ হোসেন জানান, তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক অগ্রবাণী পত্রিকায় ফটো সাংবাদিক হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসছিলেন। সিদ্দিরগঞ্জের পাঠানতলী পানিরকল এলাকার মৃত মীর হোসেনের ছেলে স্থানীয় এলাকার সন্ত্রাসী,মাদক ও অস্ত্র মামলার চিহ্নিত আসামী মীর রাসের (৩২) এর নেতেৃত্বে অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গত ২৮/১০/২০১৯ ইং তারিখ রাত ১১টার দিকে পত্রিকা অফিসের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সিদ্ধিরগঞ্জের ৯নং ওয়ার্ডের পাঠানতলী পানিরকল এলাকায় পৌছামাত্র মামলা করার কারনে ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কোন কিছু বুঝে উঠান আগেই এলোপাথারীভাবে মাথায়, বুকে, পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন যায়গায় পেটাতে থাকে। এ সময় তার মাথা ফেঁটে গেলে সে মাটিতে পরে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা তার কাছ থেকে একটি ডি,এস,এল,আর ক্যামেরা যার মূল্য (৩৫হাজার টাকা), সঙ্গে থাকা নগদ ১৮হাজার টাকা, ১২ আনা স্বর্ণের একটি চেইন লুট করে নিয়ে যায় এবং এ বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে চলে যায়। এ সময় তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে শহরের ৩০০শ শয্যা বিশিষ্ট খানপুর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক মাথার আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের পুরুষ সার্জারী ওয়ার্ডে ভর্তিরত আবস্থায় রয়েছেন।
ঘটনার স্বীকার ফটো সাংবাদিক আমজাদ হোসেন আরো জানায়, স্থানীয় এলাকার সন্ত্রাসী ও মাদক মীর রাসেলের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদলতে কয়েকটি মামলা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় বিস্ফোরক মামলা সহ একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে সিদ্দিরগঞ্জ থানার অফিসার আনচার্জ মোঃ কামরুল ফারুক মামলা দায়েরর সত্যতা স্বীকার করে জানান, মামলাটি তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ আজিজুল হকের নিকট।