সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসামনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের প্রতি সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের আওতাধীন ৭টি ইউনিয়নের ও উপজেলার নারী জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ১৫ হাজার পরিবারের মাঝে ৩ লাখ কেজি চাল ও ৩০ হাজার কেজি মুসুরি ডাল বিতরনের জন্য হস্তান্তর করেছেন এই দম্পোতি।
এ নিয়ে ৪ দফায় মোট ৩৩ হাজার ২০০ পরিবারের মাঝে ৫ লাখ ৩০ হাজার কেজি চাল ও ৩০ হাজার কেজি ডাল বিতরন করলেন এমপি সেলিম ওসমান ও তাঁর সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান। অসহায় নারী, গর্ভবর্তী নারী এবং যাদের স্বামী অথবা সন্তান বর্তমানে বিদেশে মানবেতর জীবন যাপন করছেন সেই সকল পরিবার গুলোর মাঝে এই সহযোগীতা পৌছে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন এমপি সেলিম ওসমান।
বুধবার ১৩ মে সকালে বন্দর উপজেলা কমপ্লেক্সে ৭টি ইউনিয়নের নারী জনপ্রতিধিদের সাথে মতবিনিময় করে তাদের কাছে ৩ লাখ কেজি চাল ও ৩০ হাজার কেজি ডাল হস্তান্তর করা হয়েছে।
যার মধ্যে ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নের ৩জন করে নারী সদস্যরা ১৯০০ পরিবারের করে কোন মোট ১৩৩০০ পরিবারের মাঝে এ সহযোগীতা পৌছে দিবেন, আর বন্দর উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ৭০০ পরিবার এবং বন্দর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা শুক্ল সরকারের মাধ্যমে আরো ১ হাজার পরিবারের সহ মোট ১৫ হাজার পরিবারের মাঝে এ সহযোগীতা পৌছে দেওয়া হবে।
এ সময় মিসেস নাসরিন ওসমান বলেন, আমি এই বন্দরে যখনই এসেছি আমি স্কুলের হাজার হাজার বাচ্চাদের সাথে মিশেছি। আজকেই সেই সকল বাচ্চাদের দেখছি না। তারা আজকে ঘরে বন্দী অবস্থায় রয়েছে। এটা আমার জন্য খুবই কষ্টকর ব্যাপার। মানুষ করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে। আমরা অবশ্যই এই লড়াইয়ে জিতবো। আজকে আমি আমার কাজের দায়িত্ব আপনাদের কাছে দিয়ে গেলাম।
যাদের স্বামী সন্তান বর্তমানে বিদেশে রয়েছে কিন্তু সংসার চালানোর খরচ পাঠাতে পারছে না। যে সকল নারী অসহায়, গর্ভবর্তী রয়েছেন সেই সকল পরিবার গুলোকে এই সহযোগীতা পৌছে দিবেন। আপনারা সবাই আপনাদের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের জন্য দোয়া করবেন। উনি যেন এভাবেই আপনাদের পাশে থেকে সহযোগীতা করে যেতে পারেন। আর আপনারা কাজ করতে গিয়ে নিজেদের সুরক্ষিত রাখবেন। সবাই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবেন যাতে করে দেশ আগের মত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেন, নারীরাই পারে সংসার ঠিক রাখতে। নারীরাই পারবে প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে বুঝাতে, করোনা সম্পর্কে সচেতন করতে। আমার বাড়িতে ৫জন নাতি-নাতনি রেখে আমি লাখ লাখ নাতি নাতনির কাছে এসেছি। হয়তো এ বছরের মধ্যেই টিকা বের হবে। এক সময় যেখানে বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তারে অস্ত্র বানাতে ব্যস্ত ছিল এখন সারাবিশ্ব করোনা ভাইরাসের টিকা বানাতে একত্রিত হয়ে কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, আপনারা ইমানের সাথে এই সামগ্রী গুলো বিতরন করবেন। কেউ ভোটার বিবেচনায় বিতরন করবেন না। যারা অসহায়, গর্ভবর্তী, এবং যাদের স্বামী অথবা সন্তান বিদেশে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তাদের কাছে এই সহযোগীতা পৌছে দিবেন।
উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করে তিনি বলেন, আপনার উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাকে কাজে লাগান। প্রয়োজনে এলাকার মানুষের সাথে কথা বলেন, তাদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেন। প্রতিটি বাড়ির ছাদে ছাদকৃষি করার ব্যবস্থা করেন। বন্দরের এক ফোটা জমিও যেন অনাবাদী না থাকে। প্রতিটি জমিতে চাষাবাদের ব্যবস্থা করেন। এতে অত্যন্ত আসন্ন দুর্ভিক্ষ মোকাবেলা করা সহজ হবে।
সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করে তিনি বলেন, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। যাতে করে আমি করোনা মোকাবেলা করেই মরতে পারি। করোনা জয় করার আগে যেন আমার মৃত্যু না হয়। আমি মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছি তখন মরিনি, ৭৫ সালে মরিনি, বাসের ড্রাইভার ছিলাম সড়ক দুর্ঘটনায় মরিনি। আপনাদের দোয়া থাকলে এই করোনাতেও মরবো না। আমরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাবো এবং করোনাকে জয় করবো।
উল্লেখ্য এমপি সেলিম ওসমান তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এখন পর্যন্ত ৩০ ও ৩১ মার্চ প্রথম ধাপে তার নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন সদর ও বন্দরের ৭টি ইউনিয়ন ও সিটি কর্পোরেশনের ১৭টি এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ১৩ হাজার পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে ১ লাখ ৩০ হাজার কেজি চাল করেছেন। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ধাপে ৩০ এপ্রিল প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের মৃত্যু বাষির্কী উপলক্ষ্যে বন্দর এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ২৫০০ পরিবারের প্রত্যেককে ২০ কেজি করে ৫০ হাজার কেজি চাল বিতরন করেছেন। তৃতীয় দফা ২৭০০ পরিবারের মাঝে ৫৪ হাজার কেজি চাল সহ সর্বমোট ২ লাখ ৩৪ হাজার কেজি চাল বিতরন করা হলো।
এছাড়াও চলতি রমজান মাসে করোনা সংকট মোকাবেলায় তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২ কোটি ২৮ লাখ টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। যার মধ্যে তার নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন ৭টি ইউনিয়ন ও সিটি কর্পোরেশনের ১৭টি ওয়ার্ড এলাকায় ২০ হাজার পরিবারের মাঝে প্রত্যেককে ২০ কেজি চালের সমপরিমান ৯০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিকাশ একাউন্টে প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার জন্য প্রতিটি কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যান মেম্বারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও করোনা রোগীদের চিকিৎসা প্রদানকারী ডাক্তার নার্সদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ২০ লাখ টাকা ইতোমধ্যে প্রদান করা হয়েছে। বাকি ২৮ লাখ টাকায় প্রতিটি কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে প্রতিটি এলাকায় ২০জন করে শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতী মোট ৬০০জনকে সেচ্ছাসেবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কর্মসূচী চলমান রয়েছে। যাদের প্রত্যেককে ৪৫০০ টাকা করে সম্মানী ভাতা প্রদান করা হবে।
ইতোমধ্যে জনপ্রতিনিধিদের মাধম্যে ১৬ হাজার পরিবারের মাঝে ৯০০ টাকা করে ৪৪ লাখ টাকা পৌছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা ডাক্তারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে ইতোমধ্যে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের হাতে ২০ লাখ টাকার আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করেছেন এমপি সেলিম ওসমান। এর বাইরে নার্স ও ওয়ার্ড বয়দের খাওয়ার জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৯লাখ টাকা ব্যয় এমপি সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত তহিবল থেকে বহন করা হচ্ছে। যা আগামী জুন মাস পর্যন্ত বহন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
১৫ হাজার পরিবারকে ৩ লাখ কেজি চাল ও ৩০ হাজার কেজি ঢাল দিলেন সেলিম ওসমানের সহধর্মিনী নাসরিন ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসামনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের প্রতি সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের আওতাধীন ৭টি ইউনিয়নের ও উপজেলার নারী জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ১৫ হাজার পরিবারের মাঝে ৩ লাখ কেজি চাল ও ৩০ হাজার কেজি মুসুরি ডাল বিতরনের জন্য হস্তান্তর করেছেন এই দম্পোতি।
এ নিয়ে ৪ দফায় মোট ৩৩ হাজার ২০০ পরিবারের মাঝে ৫ লাখ ৩০ হাজার কেজি চাল ও ৩০ হাজার কেজি ডাল বিতরন করলেন এমপি সেলিম ওসমান ও তাঁর সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান। অসহায় নারী, গর্ভবর্তী নারী এবং যাদের স্বামী অথবা সন্তান বর্তমানে বিদেশে মানবেতর জীবন যাপন করছেন সেই সকল পরিবার গুলোর মাঝে এই সহযোগীতা পৌছে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন এমপি সেলিম ওসমান।
বুধবার ১৩ মে সকালে বন্দর উপজেলা কমপ্লেক্সে ৭টি ইউনিয়নের নারী জনপ্রতিধিদের সাথে মতবিনিময় করে তাদের কাছে ৩ লাখ কেজি চাল ও ৩০ হাজার কেজি ডাল হস্তান্তর করা হয়েছে।
যার মধ্যে ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নের ৩জন করে নারী সদস্যরা ১৯০০ পরিবারের করে কোন মোট ১৩৩০০ পরিবারের মাঝে এ সহযোগীতা পৌছে দিবেন, আর বন্দর উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ৭০০ পরিবার এবং বন্দর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা শুক্ল সরকারের মাধ্যমে আরো ১ হাজার পরিবারের সহ মোট ১৫ হাজার পরিবারের মাঝে এ সহযোগীতা পৌছে দেওয়া হবে।
এ সময় মিসেস নাসরিন ওসমান বলেন, আমি এই বন্দরে যখনই এসেছি আমি স্কুলের হাজার হাজার বাচ্চাদের সাথে মিশেছি। আজকেই সেই সকল বাচ্চাদের দেখছি না। তারা আজকে ঘরে বন্দী অবস্থায় রয়েছে। এটা আমার জন্য খুবই কষ্টকর ব্যাপার। মানুষ করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে। আমরা অবশ্যই এই লড়াইয়ে জিতবো। আজকে আমি আমার কাজের দায়িত্ব আপনাদের কাছে দিয়ে গেলাম। যাদের স্বামী সন্তান বর্তমানে বিদেশে রয়েছে কিন্তু সংসার চালানোর খরচ পাঠাতে পারছে না। যে সকল নারী অসহায়, গর্ভবর্তী রয়েছেন সেই সকল পরিবার গুলোকে এই সহযোগীতা পৌছে দিবেন। আপনারা সবাই আপনাদের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের জন্য দোয়া করবেন। উনি যেন এভাবেই আপনাদের পাশে থেকে সহযোগীতা করে যেতে পারেন। আর আপনারা কাজ করতে গিয়ে নিজেদের সুরক্ষিত রাখবেন। সবাই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবেন যাতে করে দেশ আগের মত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেন, নারীরাই পারে সংসার ঠিক রাখতে। নারীরাই পারবে প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে বুঝাতে, করোনা সম্পর্কে সচেতন করতে। আমার বাড়িতে ৫জন নাতি-নাতনি রেখে আমি লাখ লাখ নাতি নাতনির কাছে এসেছি। হয়তো এ বছরের মধ্যেই টিকা বের হবে। এক সময় যেখানে বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তারে অস্ত্র বানাতে ব্যস্ত ছিল এখন সারাবিশ্ব করোনা ভাইরাসের টিকা বানাতে একত্রিত হয়ে কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, আপনারা ইমানের সাথে এই সামগ্রী গুলো বিতরন করবেন। কেউ ভোটার বিবেচনায় বিতরন করবেন না। যারা অসহায়, গর্ভবর্তী, এবং যাদের স্বামী অথবা সন্তান বিদেশে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তাদের কাছে এই সহযোগীতা পৌছে দিবেন।
উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করে তিনি বলেন, আপনার উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাকে কাজে লাগান। প্রয়োজনে এলাকার মানুষের সাথে কথা বলেন, তাদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেন। প্রতিটি বাড়ির ছাদে ছাদকৃষি করার ব্যবস্থা করেন। বন্দরের এক ফোটা জমিও যেন অনাবাদী না থাকে। প্রতিটি জমিতে চাষাবাদের ব্যবস্থা করেন। এতে অত্যন্ত আসন্ন দুর্ভিক্ষ মোকাবেলা করা সহজ হবে।
সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করে তিনি বলেন, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। যাতে করে আমি করোনা মোকাবেলা করেই মরতে পারি। করোনা জয় করার আগে যেন আমার মৃত্যু না হয়। আমি মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছি তখন মরিনি, ৭৫ সালে মরিনি, বাসের ড্রাইভার ছিলাম সড়ক দুর্ঘটনায় মরিনি। আপনাদের দোয়া থাকলে এই করোনাতেও মরবো না। আমরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাবো এবং করোনাকে জয় করবো।
উল্লেখ্য এমপি সেলিম ওসমান তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এখন পর্যন্ত ৩০ ও ৩১ মার্চ প্রথম ধাপে তার নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন সদর ও বন্দরের ৭টি ইউনিয়ন ও সিটি কর্পোরেশনের ১৭টি এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ১৩ হাজার পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে ১ লাখ ৩০ হাজার কেজি চাল করেছেন।
পরবর্তীতে দ্বিতীয় ধাপে ৩০ এপ্রিল প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের মৃত্যু বাষির্কী উপলক্ষ্যে বন্দর এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ২৫০০ পরিবারের প্রত্যেককে ২০ কেজি করে ৫০ হাজার কেজি চাল বিতরন করেছেন। তৃতীয় দফা ২৭০০ পরিবারের মাঝে ৫৪ হাজার কেজি চাল সহ সর্বমোট ২ লাখ ৩৪ হাজার কেজি চাল বিতরন করা হলো।
এছাড়াও চলতি রমজান মাসে করোনা সংকট মোকাবেলায় তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২ কোটি ২৮ লাখ টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। যার মধ্যে তার নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন ৭টি ইউনিয়ন ও সিটি কর্পোরেশনের ১৭টি ওয়ার্ড এলাকায় ২০ হাজার পরিবারের মাঝে প্রত্যেককে ২০ কেজি চালের সমপরিমান ৯০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিকাশ একাউন্টে প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যার জন্য প্রতিটি কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যান মেম্বারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও করোনা রোগীদের চিকিৎসা প্রদানকারী ডাক্তার নার্সদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ২০ লাখ টাকা ইতোমধ্যে প্রদান করা হয়েছে। বাকি ২৮ লাখ টাকায় প্রতিটি কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে প্রতিটি এলাকায় ২০জন করে শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতী মোট ৬০০জনকে সেচ্ছাসেবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কর্মসূচী চলমান রয়েছে। যাদের প্রত্যেককে ৪৫০০ টাকা করে সম্মানী ভাতা প্রদান করা হবে।
ইতোমধ্যে জনপ্রতিনিধিদের মাধম্যে ১৬ হাজার পরিবারের মাঝে ৯০০ টাকা করে ৪৪ লাখ টাকা পৌছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা ডাক্তারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে ইতোমধ্যে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের হাতে ২০ লাখ টাকার আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করেছেন এমপি সেলিম ওসমান। এর বাইরে নার্স ও ওয়ার্ড বয়দের খাওয়ার জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৯লাখ টাকা ব্যয় এমপি সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত তহিবল থেকে বহন করা হচ্ছে। যা আগামী জুন মাস পর্যন্ত বহন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
১৫ হাজার পরিবারকে ৩ লাখ কেজি চাল ও ৩০ হাজার কেজি ঢাল দিলেন সেলিম ওসমানের সহধর্মিনী নাসরিন ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসামনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের প্রতি সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের আওতাধীন ৭টি ইউনিয়নের ও উপজেলার নারী জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ১৫ হাজার পরিবারের মাঝে ৩ লাখ কেজি চাল ও ৩০ হাজার কেজি মুসুরি ডাল বিতরনের জন্য হস্তান্তর করেছেন এই দম্পোতি।
এ নিয়ে ৪ দফায় মোট ৩৩ হাজার ২০০ পরিবারের মাঝে ৫ লাখ ৩০ হাজার কেজি চাল ও ৩০ হাজার কেজি ডাল বিতরন করলেন এমপি সেলিম ওসমান ও তাঁর সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান। অসহায় নারী, গর্ভবর্তী নারী এবং যাদের স্বামী অথবা সন্তান বর্তমানে বিদেশে মানবেতর জীবন যাপন করছেন সেই সকল পরিবার গুলোর মাঝে এই সহযোগীতা পৌছে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন এমপি সেলিম ওসমান।
বুধবার ১৩ মে সকালে বন্দর উপজেলা কমপ্লেক্সে ৭টি ইউনিয়নের নারী জনপ্রতিধিদের সাথে মতবিনিময় করে তাদের কাছে ৩ লাখ কেজি চাল ও ৩০ হাজার কেজি ডাল হস্তান্তর করা হয়েছে।
যার মধ্যে ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নের ৩জন করে নারী সদস্যরা ১৯০০ পরিবারের করে কোন মোট ১৩৩০০ পরিবারের মাঝে এ সহযোগীতা পৌছে দিবেন, আর বন্দর উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ৭০০ পরিবার এবং বন্দর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা শুক্ল সরকারের মাধ্যমে আরো ১ হাজার পরিবারের সহ মোট ১৫ হাজার পরিবারের মাঝে এ সহযোগীতা পৌছে দেওয়া হবে।
এ সময় মিসেস নাসরিন ওসমান বলেন, আমি এই বন্দরে যখনই এসেছি আমি স্কুলের হাজার হাজার বাচ্চাদের সাথে মিশেছি। আজকেই সেই সকল বাচ্চাদের দেখছি না। তারা আজকে ঘরে বন্দী অবস্থায় রয়েছে। এটা আমার জন্য খুবই কষ্টকর ব্যাপার। মানুষ করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে। আমরা অবশ্যই এই লড়াইয়ে জিতবো। আজকে আমি আমার কাজের দায়িত্ব আপনাদের কাছে দিয়ে গেলাম।
যাদের স্বামী সন্তান বর্তমানে বিদেশে রয়েছে কিন্তু সংসার চালানোর খরচ পাঠাতে পারছে না। যে সকল নারী অসহায়, গর্ভবর্তী রয়েছেন সেই সকল পরিবার গুলোকে এই সহযোগীতা পৌছে দিবেন। আপনারা সবাই আপনাদের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের জন্য দোয়া করবেন। উনি যেন এভাবেই আপনাদের পাশে থেকে সহযোগীতা করে যেতে পারেন। আর আপনারা কাজ করতে গিয়ে নিজেদের সুরক্ষিত রাখবেন। সবাই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবেন যাতে করে দেশ আগের মত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেন, নারীরাই পারে সংসার ঠিক রাখতে। নারীরাই পারবে প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে বুঝাতে, করোনা সম্পর্কে সচেতন করতে। আমার বাড়িতে ৫জন নাতি-নাতনি রেখে আমি লাখ লাখ নাতি নাতনির কাছে এসেছি। হয়তো এ বছরের মধ্যেই টিকা বের হবে। এক সময় যেখানে বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তারে অস্ত্র বানাতে ব্যস্ত ছিল এখন সারাবিশ্ব করোনা ভাইরাসের টিকা বানাতে একত্রিত হয়ে কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, আপনারা ইমানের সাথে এই সামগ্রী গুলো বিতরন করবেন। কেউ ভোটার বিবেচনায় বিতরন করবেন না। যারা অসহায়, গর্ভবর্তী, এবং যাদের স্বামী অথবা সন্তান বিদেশে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তাদের কাছে এই সহযোগীতা পৌছে দিবেন।
উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করে তিনি বলেন, আপনার উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাকে কাজে লাগান। প্রয়োজনে এলাকার মানুষের সাথে কথা বলেন, তাদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেন। প্রতিটি বাড়ির ছাদে ছাদকৃষি করার ব্যবস্থা করেন। বন্দরের এক ফোটা জমিও যেন অনাবাদী না থাকে। প্রতিটি জমিতে চাষাবাদের ব্যবস্থা করেন। এতে অত্যন্ত আসন্ন দুর্ভিক্ষ মোকাবেলা করা সহজ হবে।
সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করে তিনি বলেন, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। যাতে করে আমি করোনা মোকাবেলা করেই মরতে পারি। করোনা জয় করার আগে যেন আমার মৃত্যু না হয়। আমি মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছি তখন মরিনি, ৭৫ সালে মরিনি, বাসের ড্রাইভার ছিলাম সড়ক দুর্ঘটনায় মরিনি। আপনাদের দোয়া থাকলে এই করোনাতেও মরবো না। আমরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাবো এবং করোনাকে জয় করবো।
উল্লেখ্য এমপি সেলিম ওসমান তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এখন পর্যন্ত ৩০ ও ৩১ মার্চ প্রথম ধাপে তার নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন সদর ও বন্দরের ৭টি ইউনিয়ন ও সিটি কর্পোরেশনের ১৭টি এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ১৩ হাজার পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে ১ লাখ ৩০ হাজার কেজি চাল করেছেন। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ধাপে ৩০ এপ্রিল প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের মৃত্যু বাষির্কী উপলক্ষ্যে বন্দর এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ২৫০০ পরিবারের প্রত্যেককে ২০ কেজি করে ৫০ হাজার কেজি চাল বিতরন করেছেন। তৃতীয় দফা ২৭০০ পরিবারের মাঝে ৫৪ হাজার কেজি চাল সহ সর্বমোট ২ লাখ ৩৪ হাজার কেজি চাল বিতরন করা হলো।
এছাড়াও চলতি রমজান মাসে করোনা সংকট মোকাবেলায় তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২ কোটি ২৮ লাখ টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। যার মধ্যে তার নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন ৭টি ইউনিয়ন ও সিটি কর্পোরেশনের ১৭টি ওয়ার্ড এলাকায় ২০ হাজার পরিবারের মাঝে প্রত্যেককে ২০ কেজি চালের সমপরিমান ৯০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিকাশ একাউন্টে প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার জন্য প্রতিটি কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যান মেম্বারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও করোনা রোগীদের চিকিৎসা প্রদানকারী ডাক্তার নার্সদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ২০ লাখ টাকা ইতোমধ্যে প্রদান করা হয়েছে। বাকি ২৮ লাখ টাকায় প্রতিটি কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে প্রতিটি এলাকায় ২০জন করে শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতী মোট ৬০০জনকে সেচ্ছাসেবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কর্মসূচী চলমান রয়েছে। যাদের প্রত্যেককে ৪৫০০ টাকা করে সম্মানী ভাতা প্রদান করা হবে।
ইতোমধ্যে জনপ্রতিনিধিদের মাধম্যে ১৬ হাজার পরিবারের মাঝে ৯০০ টাকা করে ৪৪ লাখ টাকা পৌছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা ডাক্তারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে ইতোমধ্যে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের হাতে ২০ লাখ টাকার আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করেছেন এমপি সেলিম ওসমান। এর বাইরে নার্স ও ওয়ার্ড বয়দের খাওয়ার জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৯লাখ টাকা ব্যয় এমপি সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত তহিবল থেকে বহন করা হচ্ছে। যা আগামী জুন মাস পর্যন্ত বহন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।