সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
করোনায় বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। দিকে দিকে মৃত্যুমিছিল। আতঙ্ক ও সংকটে বহু মানুষের দুরবস্থা। বিশেষ করে যারা দিন আনে দিন খায় করে তাঁদের অবস্থা আরও শোচনীয়। একদিন করোনার এই ভয়াবহতা থেমে যাবে। ধ্বংসের মধ্যে থেকে জন্ম নেবে নতুন প্রাণ। নতুন আশা। কিন্তু ততদিন এই অসহায় মানুষগুলোর কী হবে?
এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দুঃস্থ-অসহায়, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন ১৩ নং ওয়ার্ডের পরাজীত প্রার্থী, নারায়নগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক শাহ ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ।
করোনার কারণে এমন মহামারীর দিনে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। জরুরি সেবা ছাড়া সব কিছুই বন্ধ। এ পরিস্থিতিতে অসহায় এসকল মানুষের পাশে ত্রানকর্তা হিসাবে দাড়িয়েছেন তিনি। বিভিন্ন এলাকার অসহায়দের খাদ্য সামগ্রী উপহার দিয়ে সহায়তা করছেন।
করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই সুরক্ষিত থাকার জন্য ১৩ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় মানুষের মাঝর প্রায় ১২০০০ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ,৮০০০ মাস্ক, ৫০০ কেজি ব্লিচিং পাউডার, ৩০০ হ্যান্ড গ্লাভস বিতরণ করেছেন। এছাড়াও ওয়ার্ডের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
জনসচেতনতা সৃষ্টির বিষয়ে আলোকিত নারায়ণগঞ্জের সাথে আলাপকালে শাহ ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ জানান, আমরা যখন চীনের উহানে করোনার ভয়াবহতা দেখেছি তখন থেকেই প্রায় ১২০০০ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ,৮০০০ মাস্ক, ৫০০ কেজি ব্লিচিং পাউডার, ৩০০ হ্যান্ড গ্লাভস মানুষের মাঝে পৌছে দিয়েছি। ওয়ার্ডের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছি।
খাদ্য সামগ্রী সহায়তার বিষয়ে তিনি জানান, , করোনা ভাইরাসের কারণে সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও চলছে লকডাউন। এ লকডাউনের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতির ফলে খেটে-খাওয়া মানুষগুলো আজ গৃহবন্দী ও কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আমাদের নেত্রী, দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামীলীগের সকল নেতাকর্মীদেরকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি অসহায় মানুষের কথা ভাবেন, এ জন্য বরাদ্দও দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মেনে অসহায়, গরীব মানুষদের জন্য আমি আমার সাধ্যমতো সামান্য উপহার সামগ্রীর দিয়ে অসহায়দের পাশে দাড়িয়েছি।
তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ডের (১৩নং ওয়ার্ড) কুমুদিনী বাগান, গলাকাটা পুকুর পার এলাকা, গলাচিপা নতুন মসজিদ, কলেজ রোড, মাসদাইর বাজার, জামতলা এলাকায় প্রায় দুই হাজার অসহায় পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজ হাতে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছি।
শুধু তাই নয়, যতদিন মহামারী এ করোনার সংকট থাকবে ততদিন সাধ্যমতো অসহায় মানুষদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ।
তারই ধারাবাহিকতায় আমলাপড়া, বালুর মাঠ, তালা ফ্যাক্টরী সহ অন্যান্য এলাকাগুলোতেও সাধ্য মতো খাদ্য সামগ্রী উপহার দেয়ার কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান ফয়েজ।
করোনা সংকট মোকাবেলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, মহামারি কোভিড-১৯-এর এই সময়ে আমাদের সকলের দায়িত্ব একে অপরকে সাহায্য করা এবং অনগ্রসর মানুষদের কথা মাথায় রাখা। সচেতনতা সৃষ্টি, সতর্কতামুলক তথ্য ও সাধ্যমতো খাদ্য সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে কোভিড-১৯-এর বিপক্ষে লড়াই করলে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা করোনা মোকাবেলায় জয়ী হবো ইনশাআল্লাহ্।
তিনি সমাজের বিত্তবানসহ স্বচ্ছল সকলের কাছে অনুরোধ করে বলে, যার যার সামর্থ্য অনুয়ায়ী অন্তত একজন অসহায়কে হলেও সহায়তা করুন। এ মহাবিপর্যয়ের সময় একে অন্যের পাশে দাড়ান।
বর্তমান কাউন্সিলরের কর্মকান্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, মৃহ দেহের সৎকার অবশ্যই প্রশংসনীয় কাজ। তবে দশ বারো জন মানুষের দাফন করতে গিয়ে ওয়ার্ডের প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষের মৌলিক চাহিদার দিকে নজর না রাখাটা আপত্তিকর বলেও মনে করেন তিনি। নিজের প্রচারের জন্য কাউন্সিলর খোরশেদ সাধারণ জনগনকে কষ্ট দিচ্ছে যা উচিত নয় বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু ও ১ কেজি ডাল ১৩ নং ওয়ার্ডের কোন জনগন পেয়েছেন এমন কোন রেকর্ড নেই। ১০ কেজির জায়গায় ৪ বা ৫ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, এটি একটি অত্যন্ত গর্হিত কাজ। এতে একদিকে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, অপরদিকে জনগন তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই মাননীয় মেয়রের কাছে আমার আবেদন, আপনি আপনার মনিটরিং টিম এর মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করবেন জনগন যেন তার ন্যায্য পাওনাটুকু পায়।