সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত মানুষের পাশে যেসব সংগঠন বা ব্যক্তি বা জনপ্রতিনিধি দাঁড়িয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহাম্মেদ দুলাল প্রধান।
অন্য যে কোনো সংগঠন, ব্যক্তি বা জনপ্রতিনিধির চেয়ে মানবতার সেবায় অনেকটা এগিয়ে এ কাউন্সিলর। কেউই যখন আক্রান্ত হয়নি তখন থেকেই সাংসদ শামীম ওসমান ও সাংসদ সেলিম ওসমানের নির্দেশে জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট, মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ শুরু করেন দুলাল প্রধান। এখন তার নিজ ওয়ার্ডসহ সমগ্র বন্দরের কর্মহীন ও অস্বচ্ছলদের মাঝে সাধ্যমতো খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন এ কাউন্সিলর।
শুধু খাদ্য সামগ্রীই নয়, মাস্ক-হ্যান্ড স্যানিটাইজার-হ্যান্ড গ্লাভসসহ সুরক্ষা সরঞ্জাম, রসুলবাগে লক ডাউনকৃত ১’শ ২০ পরিবারের অসুস্থ মানুষদের বাড়িতে ওষুধ পৌঁছে দেওয়া, এসকল পরিবারের শিশুদের দুধ পৌছে দেয়া হচ্ছে তার পক্ষ থেকে।
শুধু তাই নয়, যতদিন মহামারী এ করোনার সংকট থাকবে ততদিন এ ১’শ ২০ পরিবারের সদস্যদের মাঝে এই সেবা চালু রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি। এছাড়াও একজন কাউন্সিলর হিসাবে তিনি যে সম্মানি পান সেই সম্মানি তার মায়ের নির্দেশে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে প্রাপ্ত খাদ্য সামগ্রী, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমানের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত ৫টন চাল দরিদ্রদের মাঝে সুষম বন্টনের মাধ্যমে বিতরণ করেছেন। এছাড়াও নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে হাত ধোয়ার জন্য সাবান ও পানির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তার নিজস্ব ত্রাণসহ অন্যান্য সকল ত্রাণ রাত জেগে অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন এবং যারা এখনো এসব ত্রাণ পান নি, খুব শীঘ্রই তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌছে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এই দুর্যোগে একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে এখন সর্বস্তরের মানুষের প্রশংসায় ভাসছে কাউন্সিলর দুলালের এসকল মানবিক কর্মকাণ্ড। নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলোকিত নারায়ণগঞ্জকে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের মানুষের যে কোনো ক্রান্তিকালে আমার নেতা একেএম শামীম ওসমান সর্বদা মানুষের পাশে ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আমার নেতার নির্দেশে এই ভয়াবহ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকেই আমি মাস্ক, স্যানিটাইজার ও হ্যান্ড গ্লাভস বিতরণ শুরু করি। এরপর খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছি। সরকারী ত্রাণ ও সাংসদ সেলিম ওসমানের ত্রাণসহ সাধ্যমতো মতো নিজের অর্থায়নে মানুষের পাশে দাঁড়াতে সর্বদা কাজ করছি। মানবতার সেবায় নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রাখছি।’তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি, এই দুর্যোগেও আমি বসে নেই। সাধ্যমতো কাজ করছি।
অসহায়-গরীব মানুষের পাশে দাড়াতে নির্ঘুম রাত পার করছি। মাস্ক, স্যানিটাইজার ও খাদ্য সামগ্রীর পাশাপাশি লক ডাউন হওয়া ১২০ পরিবারের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী সহ ঔষুধ ও বাচ্চাদের দুধের ব্যবস্থা করছি এবং যতদিন এ সংকটময় পরিস্থিতি ঠিক হচ্ছে না ততদিন এ সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে। কাউন্সিলর দুলাল প্রধান এ পর্যন্ত অসহায় মানুষদের যেসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন তার মধ্যে প্রতি প্যাকেটে রয়েছে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি আলু, ১ কেজি পিয়াজ সহ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও গ্লাভস। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতির ফলে খেটে-খাওয়া মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
আমাদের নেত্রী, দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি অসহায় মানুষের কথা ভাবেন, এ জন্য বরাদ্দও দিয়েছেন। তাই তাদের জন্য আমার এই সামান্য আয়োজন।’ এছাড়াও তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আমি আশা করি এই দুর্যোগের সময়ে সমাজের বিত্তবান উচুঁ শ্রেণির মানুষগুলোও অসহায়দের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসবে। বিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ওয়ার্ডবাসীকে নিরাপদে রাখতে ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাউন্সিলর দুলাল প্রধান বলেন, বর্তমান সময়ে বিশ্বের এক আতংঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস, এ ভাইরাস থেকে আমাদেরকে বাঁচতে হলে সবাইকে বেশি বেশি করে সচেতন হতে হবে। সবার সচেতনতাই পারবে বাংলাদেশকে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত করতে।তিনি বলেন, আমি আমার ওয়ার্ডবাসীর হাতে ধরি, পায়ে ধরি সরকারের সকল নির্দেশনা মেনে চলুন এবং যতদিন না করোনার এ সংকটময় পরিস্থিতির উন্নতি হয় ততদিন নিজ নিজ ঘরে থাকুন। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হবেন না।