সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় এখনো আরএমজি সেক্টরের কারখানা বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি এখনো সৃষ্টি হয়নি সৃষ্টি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান। শনিবার ২১ মার্চ বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে উদ্ভ‚ত সমস্যা মোকাবেলায় শিল্প কারখানায় শ্রম পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনার লক্ষ্যে শ্রম ভবনে এক আলোচনা সভা এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। সেই সাথে তিনি শিল্প মালিকদের আসন্ন ঈদ ও বোনাসের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। সেই সাথে তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্রধামন্ত্রীর উপর আস্থা রাখতে বলেছেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএ সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিশ ওসমান একেএম সেলিম ওসমান। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হক, বিকেএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, আবদুস সালাম মুর্শিদী, এমপি, বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, শ্রম সচিব কে এম আলী আজম সহ আরো অনেকে।
এর আগে সভায় নীট গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএ এর সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর কাছে এখনই কারখানা বন্ধ না করার প্রস্তাব রাখেন।
তিনি বলেন, শ্রমিকরা আমাদের উপর আস্থা রেখে কাজ করতে চায়। এটা ঠিক যে, ক্রয়াদেশ বাতিল হয়ে যাচ্ছে, কাঁচামালের সহজলভ্যতা কমে যাচ্ছে যদিও সেটা বর্তমানে অনেকটা সামলে নিয়েছি আমরা। তবে শ্রমিকদের উপর আস্থা রাখতে হবে। কারখানা বন্ধ করলে শ্রমিক বেকার হবে, তাতে অস্থিরতা বাড়বে। তাদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে প্রতিটি কারখানায় চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তুতি নিতে হবে। শ্রমিকদের মনোবল বাড়াতে কাজ করতে হবে। এ জন্য তিনি সচেতনতামূূলক ডকুমেন্টরি নির্মাণ করতে শ্রম ও কর্মস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহŸান জানান। তিনি আরো বলেন, সামনে রোজা এবং ঈদ আসছে। সে কারণে আপাতত বেতন বোনাসের প্রস্তুতি নেওয়া আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমস্যা আরো প্রকট হলে প্রয়োজনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে বসার আহŸান জানান বিকেএমইএ সভাপতি। সর্বোপরি আতঙ্কিত না হয়ে সরকারের উপর আস্থা রাখার আহŸান জানান তিনি।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি কামরান টি রহমান, শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত মহা পরিদর্শকসহ খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ।