সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়নগন্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেছেন পুলিশ জনগণের বন্ধু’ আমরা রাত-দিন আপনাদের জন্য পরিশ্রম করি এটাই আমাদের কাজ। তারপরও আমাদের ভুল হতে পারে। আপনারা সে ভুল ধরিয়ে দিয়ে আমাদের সংশোধন করার সুযোগ দিবেন। আপনারা আমাদের দূরে ঠেলে দিবেন না।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় নগরীর উকিলপাড়া এলাকায় সদর থানার আয়োজননে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার পুলিশ পাকবাহিনির পুলিশ নই। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া পুলিশ একা কিছু করতে পারবে না। আপনাদের যেকোন অভিযোগ নিয়ে আমার অফিসে চলে আসবেন। আমার অফিসে ঢুকতে কারোর অনুমতি লাগে না, কাউকে জিজ্ঞেস করতে হয় না।
আমাকে আপনাদের যেকোন ভালো কাজে পাবেন। সামাজিক আন্দোলনেও আমাকে পাবেন।তিনি আরও বলেন আপনারা দেখেছেন কি ভাবে আগুন সন্ত্রাস দমন করেছি এবং জনগনের জানমাল ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে পুলিশ কাজ করেছে শুধু তাই নয় সেদিনের ঘটনায় আমাদের পুলিশ সদস্য নিহত ও আহত হয়েছিলো। আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারন আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী আপনাদের টেক্সের টাকায় আমাদের বেতন হয়,আমাদের টাকায় নয়।
ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে উকিলপাড়া ও তার আশেপাশের এলাকাবাসী তাদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। অধিকাংশের মুখেই মাদকের সমস্যাটি শোনা যায়। বিশেষ করে বোয়ালিয়া খাল এলাকায় মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে একাধিক ব্যক্তি উল্লেখ করেন।বোয়ালিয়া খাল এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ী কিংবা ক্যাম্প স্থাপনেরও দাবি তোলেন এলসকাবাসী।পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন ডান-বাম, উত্তর-দক্ষিণে না তাকিয়ে নিরপেক্ষ ভাবে শোজা পথে আমরা কাজ করতে চাই।
বাংলাদেশ সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। মাদকের গডফাদারদের প্রশ্রয় দেবো না।আমরা মাদক চাই না। পুলিশ আর জনগণের মধ্যে পার্থক্য দেখি না। মাদক নির্মূলে আমরা একত্রে কাজ করবো। মাদকের সাপ্লাই বন্ধ করতে বিজিবিসহ একাধিক সংস্থা কাজ করছে। মাদক নির্মূল করতে হলে মাদকের চাহিদা কমাতে হবে। কেননা চাহিদা কমলে সাপ্লাই এমনিতেই কমে যাবে। মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।তিনি আরও বলেন, এখন তো মাদক ব্যবসায়ীর থেকে খাদক বেশি। পুলিশ কেবল মাদকসেবী ধরে বেড়াচ্ছে।
পুলিশের কাজ তো কেবল মাদকসেবী ধরা না। পুলিশের কাজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করা। একজন বলেছেন, পাশের ঘরে ছেলে-মেয়ে কি করতেছে সেটার খবর রাখে না বাবা-মা। ছেলে-মেয়ে স্কুল ড্রেস পড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পার্কে চলে যাচ্ছে। এদিকে খোঁজ খবর রাখতে হবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী আইনজীবীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন আপনারা তাদের মামলা না লড়লে আমরা তাদের কে কঠোর শাস্তির ব্যাবস্হা নিশ্চিত করতে পারবো। ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার শফিউদ্দিন প্রধান বলেন মাদক মুক্ত করবো দেশ তার পর নেবো রেষ্ট। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও এস এম আরিফ মিহিরের সন্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মোস্তাফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খোকন সাহা, জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি ডা. শাওনেওয়াজ চৌধুরী, মহানগর কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি এম সোলায়মান, সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন হাজী মনিরুজ্জামান, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, হাজী নুর হোসেন, জাপা নেতা আবুল বাসার বাসেত, কৃষক লীগের নেতা শুক্কুর আলী, যুব নেতা সালাউদ্দীন আহম্মেদ সোহেল প্রধান,মোঃ নুর ইসলাম, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ সুমন,শ্রী মধু সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।