সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
আজকের পুলিশ আর ২০/৩০ বছর আগের পুলিশ কিন্তু এক না। আজকের পুলিশের মধ্যে বা আজকের জেলা প্রশাসনের মধ্যে দেখা যাবে উনি মুক্তিযোদ্ধার ঘরের সন্তান। এখানে যারাই আছেন তারা মুক্তিযোদ্ধার প্রোডাক্ট।
আমি জানি এখানে আপনারা যারা রয়েছেন তারা কোনো দলের সমর্থক না। কিন্তু এখন প্রশাসনের ভিতর যে দলবাজীটা হয় তাতে আমি সমর্থন করি না। প্রশাসনের মধ্যে আরো দক্ষ লোক থাকা দরকার বলে আমি মনে করি। আপনারা খুব সম্মানজনক কাজ করেন। পৃথিবীর অন্য দেশগুলোতে পুলিশের অত্যন্ত সম্মানজনক একটি কাজ এবং আমার মনে হয় বাংলাদেশের পুলিশ ধীরে ধীরে এই জায়গাটিতে মোটামুটি এসে গেছে, আর কিছুদিন পর তার থেকে আরো ভালো অবস্থানে আসবে।
রবিবার(০১ মার্চ) সকালে জেলা পুলিশ লাইনে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে জেলা পুলিশ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান একথা বলেন।
তিনি বলেন, একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে পারছি কিনা তা আমি জানিনা। সাধারণ মানুষ আপনাদের উপর অনেক ভরসা করে। আমি আগেও বলেছি মানুষ উন্নয়ন চায় কিন্তু তার থেকেও বেশি সুশাসন চায়, শান্তি চায়। চলেন সবাই একসাথে কাজ করি। আপনিও একা পারবেন না আর আমিও একা পারবো না। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে আপনারা পুলিশ বাহিনী। প্রথম ধাপ হচ্ছেন আপনারা এরপর হচ্ছে জেলা প্রশাসক সাহেবরা। উনি আপনাদের শক্তিতে শক্তিশালী, আপনারা যদি ওনাকে সহযোগীতা না করেন উনি এককভাবে পারবেন না। আমাদের নারায়ণগঞ্জে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এর আগে র্যাবের কারণে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে তারপর বিভিন্ন কারণে কিছু ক্ষতি হয়েছে। আমাদের উচিত সেখান থেকে বের হয়ে আসা।
সবটা সমান না। আমাদের সবার একসাথে কাজ করা দরকার। অন্য কোন দলকে দমন করার জন্য আমাদের পুলিশের দরকার নেই, নারায়ণগঞ্জে আমরা আওয়ামীলীগই যথেষ্ট। ৭৯ সালে জিয়াউর রহমানকে আটকিয়ে রাখা লোক আমরা।
এসময় উক্ত অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম’র সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মোঃ জসীমউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, জেলা পুলিশিংয়ের সভাপতি ডা. শাহনেওয়াজ চৌধুরী প্রমুখ।