সকাল নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জে ভোজ্য তেল সংকট নিরসনে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুর ১২ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসিল মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, “নারায়ণগঞ্জে কোন কোম্পানির কতজন ডিলার রয়েছে এবং তাদের প্রতি সপ্তাহে কত পরিমাণ তেল সরবরাহ করা হয়, সে তথ্য আমাদের কাছে পাঠানো হবে। এর মাধ্যমে আমরা বাজার যাচাই করতে পারবো। তেলের বাজারে গত রোজা মাসগুলোর তুলনায় দাম কম থাকলেও কারসাজি চলছে, যা আমরা বন্ধ করতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “কোন কোম্পানি যদি একক ডিলার নিয়োগ করে, তবে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। তাই একাধিক ডিলার নিয়োগের অনুরোধ করা হচ্ছে। আমরা নারায়ণগঞ্জের মানুষকে স্বস্তি দিতে এক সপ্তাহের মধ্যে তেলের বাজারে স্থিতিশীলতা আনার চেষ্টা করছি।”
এ সময় বিভিন্ন ভোজ্য তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যেমন সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল, টিকে গ্রুপ এবং আবুল খায়ের গ্রুপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
নিতাইগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শংকর সাহা বলেন, “নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বোতলজাত তেলের সরবরাহ নেই। গ্রুপগুলো কাদের কাছে তেল দিচ্ছে তা অজানা। তাছাড়া ডিলাররা গোপনে তেল অন্য জেলায় বিক্রি করে দেয়।”
তবে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, তাদের কাছে কাঁচামালের কোনো সংকট নেই এবং পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তারা দাবি করেন, যদি কোনো কারসাজি হয়ে থাকে, তারা সে বিষয়ে অবগত নন।
বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিনিধিরা জানান, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে তেলের উৎপাদন কিছুটা কমে গেছে, তবে উৎপাদিত তেল পুরোপুরি বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। মেঘনা গ্রুপ এবং বাংলাদেশ এডিবল অয়েলের প্রতিনিধিরাও জানিয়েছেন, তাদের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে, তবে তারা নারায়ণগঞ্জে ডিলার সংখ্যা এবং সরবরাহের পরিমাণ জানাতে পারেননি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর হুসাইন, এনএসআই যুগ্ম পরিচালক দাদন মুন্সি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, ইউএনও সোনারগাঁ ফারজানা রহমান, ইউএনও রূপগঞ্জ সাইফুল ইসলাম, জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বনিক, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা ইবনুল ইসলাম প্রমুখ।