1. sokalnarayanganj@gmail.com : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. skriaz30@gmail.com : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
হজের পর হাজিদের করণীয় - সকাল নারায়ণগঞ্জ
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১২:১২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
মুরাদনগরে নারী ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন জুলাই অপরাধীদের তালিকা না দেয়াও অপরাধ বন্দরে আতাউর রহমান মুকুল সাহেবের উপর হামলা, মোমেন ইসলাম- নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ বন্দর উপজেলা বিএনপির সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলকে নিয়ে অবমাননাকর আচরণের তীব্র নিন্দা অসুস্থ বিএনপি নেতা লাভলুর পাশে জমিয়তের মুফতি মনির কাসেমী ধর্ষণ-নিপীড়ন বন্ধে ব্যর্থ অর্ন্তবর্তী সরকারও জুলাই অপরাধী-দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ ও বিচার করুন  জাতীয় সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় রোডমার্চ নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোড ও মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসবে এসপির অংশগ্রহণ  মুসলিম ভূখন্ডে ইসরাইলী হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর বিক্ষোভ মিছিল।

হজের পর হাজিদের করণীয়

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪
  • ১৬৭ Time View

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ

আল্লাহর একান্ত আনুগত বান্দা হিসাবে জীবন পরিচালনার জন্য অন্যতম সহায়ক হলো হজ। সুতরাং হজপরবর্তী জীবন হতে হবে সম্পূর্ণ তাওহিদ-একত্ববাদনির্ভর। হজের পর এমন কোনো কাজই করা যাবে না, যেখানে আল্লাহর সঙ্গে অংশীদারত্বের ন্যূনতম সম্পর্ক রয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ ও তার রাসূলের কাছ থেকে মহান হজের দিনে মানুষের প্রতি (বিশেষ) বার্তা হলো, আল্লাহর সঙ্গে শিরককারীদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং তার রাসূলের সঙ্গেও নেই।’ (সূরা তাওবা-৩)।

মুসলিম মনীষীদের একটি বহুল আলোচিত বাণী এক্ষেত্রে প্রণিধানযোগ্য। তারা বলেছেন, ‘নেক কাজের প্রতিদান হলো, এরপরও নেক কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। আর পাপ কাজের প্রতিদান হলো, এরপরও পাপ কাজ অব্যাহত করে যাওয়া। ’

আলেমরা বলেন, হজের পর গোনাহমুক্ত জীবনযাপনই হলো হজ কবুল হওয়ার প্রধান লক্ষণ। হজ পালনকারীদের উচিত আল্লাহর বিধিবিধান পালনের প্রতি যথাযথ গুরুত্বারোপ করা। পাপের কাজ থেকে দূরে থাকা। ভালো কাজের অংশগ্রহণ বাড়ানো। অন্যায় প্রতিহত করতে অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।

মহান আল্লাহ হাজিদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘অতঃপর যখন তোমরা (হজের) যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে নেবে, তখন (মিনায়) এমনভাবে আল্লাহর (জিকির) স্মরণ করবে, যেমন (জাহেলি যুগে) তোমরা তোমাদের পিতৃপুরুষদের স্মরণ করতে অথবা তার চেয়েও বেশি গভীরভাবে (স্মরণ করবে)। এমন কিছু লোক আছে যারা বলে-হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের দুনিয়াতে (সাওয়াব) দান কর।’ মূলত তাদের জন্য পরকালে (কল্যাণের) কোনো অংশ নেই।’ (সূরা বাকারা-২০০)।

পক্ষান্তরে তাদের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে যারা বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর এবং পরকালেও কল্যাণ দান কর। আর আমাদের দোজখের যন্ত্রণা থেকে রক্ষা কর।’ (সূরা বাকারা-২০১)।

ইসলাম পূর্বযুগে আরবের লোকেরা হজ সম্পাদন করেই মিনায় মেলার আয়োজন করত। তাই আল্লাহতায়ালা জাহেলি যুগের সে রীতির পরিবর্তন করে মানুষকে নির্দেশ দেন, হজের পর মেলা নয় বরং আল্লাহর স্মরণই সর্বোত্তম আর তা মৃত্যু পর্যন্ত অব্যাহত রাখা আবশ্যক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হজের উদ্দেশ্যে যাওয়া লোকদের নিজ নিজ দেশে ফিরে কী করতে হবে তা বর্ণনা করেছেন প্রিয়নবি (সা.)।

রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন কোনো সফর থেকে ফিরে আসতেন, তখন মসজিদে (নফল) নামাজ আদায় করতেন’ (সহিহ বুখারি)। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে আর্থিক ও শারীরিক ইবাদত হজের দীর্ঘ সফর শেষে যখন কোনো মানুষ নিজ বাড়িতে ফিরবে তার উচিত নিজ মহল্লার মসজিদে গিয়ে দুরাকাত নামাজ আদায় করা অতঃপর ঘরে ফেরা। এ নামাজ আদায় করা প্রিয় নবির অনুসরণীয় সুন্নাত আমল।’

মসজিদ থেকে দুরাকাত নামাজ আদায় করে নিজ ঘরে প্রবেশের পরও শুকরিয়া আদায় করে দুরাকাত নামাজ আদায় করা মোস্তাহাব। হাদিসে এসেছে-রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তুমি ঘর থেকে বের হবে, তখন দুরাকাত নামাজ পড়বে। এ নামাজ তোমাকে ঘরের বাইরের বিপদাপদ থেকে হেফাজত করবে। আর যখন ঘরে ফিরবে, তখনো দুরাকাত নামাজ আদায় করবে। এ নামাজ তোমাকে ঘরের অভ্যন্তরীণ বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করবে।’ (মুসনাদে বাজ্জার)।

নিরাপদে হজ পালন করে দেশে ফিরে আসার পর শুকরিয়া স্বরূপ গরিব-মিসকিন ও আত্মীয়স্বজনকে খাবারের দাওয়াত দেওয়াও বৈধ। হাদিসে এসেছে-হজরত জাবের বিন আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন মদিনায় এসেছেন, তখন একটি পশু জবাইয়ের নির্দেশ দেন। জবাইয়ের পর সাহাবায়ে কেরাম তা থেকে আহার করেছেন’ (সহিহ বুখারি)।

যাদের হজ কবুল হয়, তাদের জীবনের মোড় ও কর্মের অভিযাত্রা ঘুরে যায়। ভবিষ্যতে গুনাহ থেকে বিরত থাকার আগ্রহ বাড়ে। আল্লাহর আনুগত্যের প্রতি মানুষ যত্নবান হয়। হজ করার পর যার জীবনে কাক্সিক্ষত পরিবর্তন আসেনি, তার হজ কবুল হওয়ার বিষয়টি সন্দেহমুক্ত নয়। (আপকে মাসায়েল ৪/২৫)।

যারা হজ করে আসছেন, তাদের অভ্যর্থনা ও শুভেচ্ছা জানানো, তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, মুসাফাহ ও কোলাকুলি করা এবং তাদের দিয়ে দোয়া করানো মুস্তাহাব। কিন্তু ফুলের মালা দেওয়া, তাদের সম্মানার্থে স্লোগান ইত্যাদি দেওয়া সীমালঙ্ঘনের অন্তর্ভুক্ত। এসব কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত। (আপকে মাসায়েল ১/১৬২)।

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL