সকাল নারায়ণগঞ্জ:
ধমীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে রমজানের প্রথম জুমাবারে নারায়ণগঞ্জ শহরের মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ঢল নেমেছিল। ইবাদত বন্দেগির বিশেষ মাস হিসেবে রমজানে প্রতিটি ওয়াক্তেই মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা বেশি থাকে। তবে রোজায় জুমার নামাজে দেখা মিলে মুসল্লিদের ব্যতিক্রম দৃশ্য।
শুক্রবার (৭ মার্চ, ৬ রমজান) জুম্মার আজান দেয়ার আগে থেকেই মুসল্লিরা মসজিদের দিকে ছুটতে থাকেন। নামাজ শুরুর আগেই শহরের ও আশপাশের এলাকার প্রত্যেকটি জামে মসজিদ মুসল্লিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মসজিদের ভেতরে স্থান সংকুলান না হওয়ায় জুমার নামাজের জামাত রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে।
মসজিদের ভেতরে জায়গা না পেয়ে মুসল্লিরা মসজিদের ছাদ, খোলা জায়গা ও রাস্তায় দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেছেন। রোজার প্রথম জুমায় শহরজুড়ে সব মসজিদেই এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
রমজানের প্রথম জুম্মায় শহর ও আশপাশের এলাকার বেশির ভাগ মসজিদের ভেতর ও বারান্দায় স্থান সংকুলান না হওয়ায় মুসল্লিদের ভিড় উপচে পড়ে তা বাইরে চলে আসে। শহরের ডিআইটি মসজিদের ভেতর, বারান্দা ও ছাদ ছাপিয়ে মুসল্লীদের জামাত মসজিদের পাশের রাস্তায় এসে দাঁড়ায়।
এছাড়াও শহরের বড় বড় বেশ কয়েকটি মসজিদ যেমন ডিআইটি জামে মসজিদ, চাষাঢ়া নুর মসজিদ, মাসদাইর কেন্দ্রীয় সিটি কবরস্থান জামে মসজিদ, কালীবাজার পুরান কোর্ট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, মিন্নত আলী শাহ জামে মসজিদ, চাষাঢ়া বাগে জান্নাত জামে মসজিদ, মন্ডলপাড়া জিমখানা জামে মসজিদে মুসল্লিদের ছিল উপচেপড়া ভিড়। মসজিদের ভেতরে কোথাও ছিল না তিল ধারণের ঠাঁই। এসব মসজিদের ভেতর আবার কোনটির দ্বিতীয় তৃতীয় তলা মুসল্লিতে পরিপূর্ণ হওয়ার পর বাইরে মসজিদ আঙ্গিনা বা রাস্তায় মেট, জায়নামাজ, চাদর বিছিয়ে নামাজ আদায় করা হয়েছে।
মসজিদগুলোতে জুম্মার খুতবার আগে বয়ানে মাহে রমজানের ফজিলত ও তাৎপর্য তুলে ধরা হয়। ইমাম সাহেবগণ রোজার বিষয়ে হাদিস উদ্ধৃত করে এ মাসে ধৈর্য ও সহানুভূতির শিক্ষা গ্রহণ করতে মুসল্লিদের আহবান জানান। একই সঙ্গে দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় রেখে সাধারণ মানুষের যাতে কেনাকাটায় নাভিশ্বাস না ওঠে এ ব্যাপারেও বয়ানে সকল ব্যবসায়িদের প্রতি আহবান জানানো হয়।
নামাজ শেষে নগরীর সব মসজিদে জুমার মুনাজাতে দেশ, জাতি ও বিশ্বের সব মানুষের শান্তি এবং সমৃদ্ধির জন্য দোয়া করা হয়। মুনাজাতে কায়মনোবাক্যে মহান আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা কামনা করা হয় ।