সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
৩৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সচিব মো. ইউসুফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে দুদক।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুদকের একটি টিম বন্দর উপজেলার বন্দর ইউনিয়ন পরিষদে তদন্তের জন্য আসে। এ সময় চেয়ারম্যানসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে কথা বলেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-২ এর একটি টিম।
জন্ম নিবন্ধন ও ট্রেড লাইসেন্সের ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইউসুফের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের অভিযোগে দুদক এই তদন্তে নামে।
অভিযানকালে দুদক সাবেক সচিব মো. ইউসুফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পায় বলে জানা গেছে।
গত বছর এহসান চেয়ারম্যান ও বন্দর ইউপির সাবেক সচিব মোহাম্মদ ইউসুফের বিরুদ্ধে জন্ম নিবন্ধন ও ট্রেড লাইসেন্সের বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তদন্তে এ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় উক্ত টাকা আদায়সহ ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়।
তবে এই অর্থ আত্মসাতের সম্পূর্ণ দায় সচিব ইউসুফের উল্লেখ করে চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ২০১৪ সালের সার্কুলার অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধন আইডি ও গোপণ পাসওয়ার্ড সংরক্ষন, নতুন জন্ম নিবন্ধন, পুরাতন জন্ম তথ্য কম্পিউটারে অন্তর্ভূক্তকরণ, সংশোধন, জন্ম সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে একমাত্র অথরাইজ পারসন ইউপি সচিব। ইউপি সচিব ইউসুফের উপর আমার সরল বিশ্বাস ছিল। আমি সরল মনে তাকে বিশ্বাস করে ঠকেছি। কিন্তু সে আমার সিগনেচার ছাড়াই অনলাইনে বন্দর ইউনিয়ন ছাড়াও সিটি কর্পোরেশন ও অন্যান্য স্থানের লোকেদের নামে জন্মসনদ তৈরি করেছে। যা সম্পর্কে আমি জ্ঞাত ছিলাম না। আমার অগোচরে এসব টাকা সে আত্মসাৎ করেছে।’
এছাড়াও ইউসুফের দুর্নীতির একটি মামলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) তদন্তনাধীন রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার এক ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে জন্মনিবন্ধন সনদ বিক্রি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-২ একটি অভিযান চালিয়েছে। অভিযানকালে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এ বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের করা একটি মামলায় তদন্ত চলছে।