সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের কর্নধার আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু দুবাই প্রবাসি ইউসুফ খান সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন- ইন্না-লিল্লাহ — রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৪৪ বছর।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে ফতুল্লার মাসদাইর নিজ বাড়িতে দুবাই প্রবাসি ইউসুফ খান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান।
এদিকে দুবাই প্রবাসি ইউসুফ খানের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জের যুব নেতা আজমেরী ওসমান। মরহুমের রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা সহ শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
মরহুম ইউসুফ খান মতলবের কৃতি সন্তান আলাউদ্দিন খানের ছেলে। সে স্বপরিবার নিয়ে দুবাই বসবাস করতেন। আর তার ছেলের মধ্যে তিন ছেলে স্ত্রীকে নিয়ে দুবাই অবস্থান করে ব্যবসা করতেন এবং এক ছেলে বাংলাদেশে বসবাস করে।
শোকবার্তায় আজমেরী ওসমান জানান, ইউসুফ খান ফ্যামিলি নিয়ে দুবাই বসবাস করতো। সে অনেক বড় মনের মানুষ ছিল। তার মত একজন বন্ধুকে হারিয়ে আমি খুব মর্মাহত। তার আচার আচরণে অনেটাই মিগ্ধ। ইউসুফের মৃত্যুকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। সে শুধু আমাকে এক নজর দেখার জন্য এবং আমাদের ভাল বাসার টানে দুবাই থেকে বাংলাদেশে ছুটে আসে। ইউসুফ খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ সহ শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান আজমেরী ওসমান।
এদিকে ইউসুফ খানের মৃত্যুর চার দিন পর মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করবেন তারই ঘনিষ্ঠ বন্ধু নারায়ণগঞ্জের যুব নেতা আজমেরী ওসমান। মিলাদ ও দোয়ার অনুষ্ঠানটি শহরের আল্লামা ইকবাল রোডস্থ আজমেরী ওসমানের বাসভবনে অনুষ্ঠিত হবে। সবাই দোয়া অনুষ্ঠানে শরিক হওয়ার জন্য আহবান করা হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মতলবের কৃতি সন্তান ইউসুফ খান বিগত ১০/১২ বছর যাবৎ দুবাই বসবাস করে আসছে। সেখানে তিনি সুনামের সহিত ব্যবসা করতো। চার ছেলের মধ্যে তিন ছেলে এবং স্ত্রীকে নিয়ে দুবাই বসবাস করতো এবং এক ছেলে বাংলাদেশে বসবাস করে। অল্প কয়েকদিন আগে ঘনিষ্ঠ বন্ধু আজমেরী ওসমানকে একনজর দেখার জন্য হাফ ডাউন টিকেট করে দুবাই থেকে বাংলাদেশে আসেন। বুধবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ইউসুফ খান। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে মৃত্যুবরন করেন।