শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নতুন ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জের ৩৬টি জেলা ভিত্তিক ও ১১টি জাতীয়ভিত্তিক ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সবদিকেই সেরা। ব্রিটিশ আমল থেকে নারায়ণগঞ্জ ব্যবসার জন্য প্রসিদ্ধ। এরও আগে থেকেই নারায়ণগঞ্জ বন্দরনগরী হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিল। শুনতে ভালো লাগে যে নারায়ণগঞ্জ থেকে নিটওয়্যার প্রচুর রপ্তানি হয়। আমি যেখানে গিয়েছি কাপড় উল্টে যখন দেখি মেড ইন বাংলাদেশ ,তখন মন ভরে যায়।
মন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার জন্য প্রধামন্ত্রী ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সৃষ্টি করেছেন। এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ মালিক এবং শ্রমিকদের মধ্যে সেতুবন্ধন করে দিয়েছে। আমরা দেখতাম শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেই কারখানা পুড়িয়ে দিতো। এখন আর এটা হয় না। আজকে নেতাদের মুখে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সুনাম রয়েছে। ভালো কাজ করলে সবাই তার প্রশংসা করে। ভুলভ্রান্তি অনেকেই করে আমরাও করি। ভুলভ্রান্তি করলে যেই হোক আইন অনুযায়ী শাস্তি ভোগ করতে হবে। সে যেই হোক সেখানে ছাড় নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে রাত দুইটা বাজে ফোন করলেও তিনি সেটার উত্তর দেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ তিনি সময়মতো আদায় করেন। তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েন। সকালের নামাজ পড়ে কাজ শুরু করেন। অন্য ধর্মের প্রতি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অগাধ বিশ্বাস। সবাইকে তিনি আগলে রেখেন। কোভিডের সময় প্রধামন্ত্রী কিভাবে সহযোগিতা করেছেন আপনারা দেখেছেন। তিনি শুধু আমাদের নেতা নন। তিনি বিশ্বের নন্দিত নেতা। কখনও তিনি মাদার অব হিউম্যানিটি কখনও তিনি ভ্যাকসিন হিরো। তিনি এদেশের জনগণকে ভালোবাসে বলেই আমরা এই জায়গায় আসতে পেরেছি। আমরা কোনো ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করি না। কোনো পেশীশক্তিতে বিশ্বাস করি না। আমরা চাই জনগণের ভালোবাসা। আবারও নির্বাচন আসবে। সারাদেশেই একটাই আওয়াজ শেখ হাসিনার বিকল্প নাই।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী অনেক দূরদর্শী নেত্রী। বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে তিনি যা ওয়াদা করেছিলেন একে একে সব করতেন। মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদ ২০ বছরে যা করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশকে একটা জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন। শূন্য থেকে সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশের ধারা বদলে দিয়েছেন। সবকিছু পরিকল্পনা নিয়েছিলেন এবং যথার্থভাবে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছিলেন। তারই কন্যা শেখ হাসিনা আজকে দেশ পরিচালনা করছেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে আইসিটি উপদেষ্টা বঙ্গবন্ধুর দৈহিত্র আইসিটি সেক্টরকে উপরে নিয়ে আসছেন। সেখানেও বিস্ফোরণ ঘটছে। বিরাট সম্ভবনার জায়গায় চলে আসছে আইসিটি খাত। এটিই হলো দূরদর্শী নেতৃত্বের পরিচয় দক্ষ নেতৃত্বের পরিচয়। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বদলে গেছে। ২০০৮ সালে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিলেন তখন অনেকেই হাসছিলেন। আজকে কোথায় নিয়ে গেছে আমাদের দেশকে। এখনও অনেক ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। পিছে ফেলার জন্য চক্রান্ত চলছে। যারা ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে তাদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। প্রত্যেকটা ইন্ডাস্ট্রিজ বিশ্বমানের ইন্ডাস্ট্রিজ।
বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমানের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি এম এ হাতেমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ী নেতারা।