গাজীপুরে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের ছাত্র লীগ নেতা ফেরদৌস কে অপহরণ করে পায়ের রগ কর্তনের ঘটনার প্রধান আসামী রবিন সরদারকে পিস্তল ও গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার এয়ারপোর্ট পুলিশের সহযোগিতায় তাকে বিমান বন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
অপহরণের শিকার আহত ফেরদৌস গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের স্নাতকোত্তর বর্ষের ছাত্র। গ্রেফতারকৃত রবিন সরদার ওরফে নুরুজ্জামান সরদার শরীয়তপুর জেলার গোসাইহাট থানাধীন মোল্লাকান্দা গ্রামের মৃত রুহুল আমীন সরদারের ছেলে। সে গাজীপুর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের ছাত্র। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, গণধর্ষণ, চুরিসহ ২১টি মামলা রয়েছে।বৃহস্পতিবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, জিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার(অপরাধ উত্তর) আবু তোরাব মোঃ শামছুর রহমান।
তিনি জানান, গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকালে রবিন সরদার ও তার দলবল কলেজ ছাত্র ফেরদৌসকে গাড়িযোগে কলেজের সামনে থেকে অপরহণের পর ছুরিকাঘাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়।
অপহরণের খবর পেয়ে বাসন থানা পুলিশ আহত অবস্থায় ফেরদৌসকে গাজীপুর মহানগরের সদর থানাধীন হলিল্যাব হাসপাতালের সামনে থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ফেরদৌসের মা বাদী হয়ে রবিন সরদার কে প্রধান আসামি করে ২২ জনের বিরুদ্ধে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে রবিন সরদার কে গ্রেফতারে থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযানে নামে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এয়ারপোর্ট পুলিশের সহায়তায় রবিন সরদাকে এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেফতার করা হয়।জিএমপি পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরো জানান, রবিনকে গ্রেফতারের পর তার দেয়া তথ্যমতে, ভাওয়ার কলেজের উত্তর পাশে সুইপার কলোনির পরিত্যাক্ত একটি টিনশেডের ঘর থেকে ৩ রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাসন থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, গ্রেফতারকৃত রবিন সরদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ২১ টি মামলা রয়েছে। তাকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।