সকাল নারায়ানগঞ্জঃ
ছাত্রলীগ নেতা সুস্মিতের বাড়ি বন্দর পুলিশ ফাঁড়ীর আড়াইশ’ গজের মধ্যে।সূত্র মতে, মামলার পর থেকে নিজ বাড়িতে আসা যাওয়া করছেনও তিনি।কিন্তু কন্ডাক্টরকে মারধরের ঘটনায় দায়েরকৃত মৃমলায় এখসও অধরা রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সাকিব আঞ্জুম সুস্মিত।
তবে এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মারধরের ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের খুঁজছে পুলিশ। তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গত সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মারধর করে দাঁত তুলে ফেলার কথা উল্লেখ করে বন্দর থানায় সুস্মিত ও তার দুই সহযোগীর নামে মামলা করেন নির্যাতনের শিকার আবুল মিয়া। তিনি বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের এক নম্বর মাধবপাশা এলাকার মৃত আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে। পেশায় একজন বাস কন্ডাক্টর। মামলায় তিনি বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সাকিব আঞ্জুম সুস্মিত ও তার সহযোগীরা মিলে তাকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে ঘুষি দিয়ে তার একটি দাঁতও ফেলে দেন।
আহত আবুল মিয়া বলেন, সোমবার সকাল দশটায় প্রয়োজনীয় কাজে আমি আমার বন্ধুর বাড়ি বাড়ইপাড়া এলাকায় আসি। ওই সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্দর এইচএম সেন রোডের বাড়ইপাড়া এলাকার আবু মিয়ার ছেলে মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুস্মিত ও একই এলাকার জাকির মিয়ার ছেলে পিয়াস এবং একই এলাকার হায়াতুর রহমানের ছেলে সানোয়ারসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী বেদমভাবে পিটিয়ে নিলাফুলা জখমসহ একটি দাঁত ফেলে দেয়।
এই ঘটনায় মামলার পর তিন দিন পেরিয়ে গেলেও মামলার কোন আসামিকে ধরতে পারেনি পুলিশ। এর আগেও সুস্মিতের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ ওঠে। বন্দরের বাড়ইপাড়া এলাকায় ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে সুস্মিত ও তার সহযোগীরা এক গৃহবধূকে শ্লীলতাহানী ও তার দুই দেবরকে মারধর করে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। দলীয় প্রভাবে ওই ঘটনায় বাদীপক্ষের সাথে আপোস মিমাংসা ছাড় পায় সুস্মিত। অভিযোগটি মামলা পর্যন্ত গড়ায়নি। তবে এবার নির্যাতনের শিকার বাস কন্ডাক্টর আবুল মিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায়ও মামলা থেকে রেহাই পেতে দলীয় প্রভাব খাটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে মামলার আসামিরা গ্রেফতার না হওয়াতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন বাদী।
বন্দরের একটি সূত্র জানিয়েছে, মারধরের মামলায় অভিযুক্ত সুস্মিত ও তার সহযোগীরা বন্দরেই অবস্থান করছে। এমনকি বন্দর ফাঁড়ীর অদূরেই সুস্মিত তার বাড়িতে আসা যাওয়া করছে বলে খবর রয়েছে। পরিবার ও দলীয় লোকজনের সাথে রয়েছে নিয়মিত যোগাযোগ।