বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আসবে নারায়ণগঞ্জে। তাঁর আগমনকে কেন্দ্র করে দুপুর ৩টা থেকে খানপুরে জড়ো হতে থাকে নেতাকর্মীরা।
প্রধান অতিথি আসার ১০ মিনিট পূর্বে থেকেই শুরু হয় পরস্পর মারামারি। এই মারামারি চলে রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যের পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত।
এই দৃশ্য দেখে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রিজভী বলেছেন, ‘আপনারা কেউ ঝগড়া ঝাটি করবেন না, আপনাদের অনেককেই আমি চিনেছি। তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মিথ্যা মামলা, পুলিশি হয়রানী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মঙ্গলবার বিএনপির পদযাত্রায় এই দৃশ্য দেখা যায়। এ ঘটনার পর নেতাকর্মীদের এক অংশ পদযাত্রা নিয়ে ডনচেম্বার এলাকা অতিক্রম করতে গেলে পুনরায় আবারও শুরু হয় মারামারি। প্রায় ঘন্টা খানেকের এই কর্মসূচিতে ৪০ মিনিট মারামারি হয় নেতাকর্মীদের মাঝে। এতে আহত হন অনেকে।
এ সময় একে অপরকে মোবাইল চোর আখ্যা দিয়েও মারধর করতে দেখা গেছে। বিশৃঙ্খলা করেছে রুহুল কবির রিজভীর পাশে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করেও।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির ঢাকা বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়য়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু।