নিত্যপণ্যের দাম কমানো এবং গ্রাম শহরে নি¤œ আয়ের মানুষের জন্য রেশন ও ন্যায্যমূল্যের দোকানের দাবিতে আজ বিকাল ৪:৩০ টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সমাবেশ ও শহরে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বাম জোটের সমন্বয়ক ও জেলা সিপিবির সভাপতি হাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা মন্টু ঘোষ, বাসদ জেলা কমিটির সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, সিপিবি নেতা শিবনাথ চক্রবর্তী, দুলাল সাহা, বাসদ নেতা সেলিম মাহমুদ, সাইফুল ইসলাম শরীফ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাজারে এমন কোন জিনিস নেই, যার দাম ক্রমাগত বাড়ছে না। বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। মানুষের আয় বাড়েনি। ফলে তাদের খাবার কমিয়ে দিতে হচ্ছে। শতকরা ৬৮ ভাগ মানুষ খাবার কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। সামনে রমজান এবং ঈদ। ব্যবসায়ীরা রমজানের আগেই নিত্য পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। রমজান শুরু হলে কী হবে এটা নিয়ে মানুষ আশঙ্কিত।
সরকার উচ্চ মূল্য নিয়ে অনেক কথা বলছে কিন্তু যেসব সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বর্তমানে ওএমএসের মাধ্যমে মাঝে মাঝে কয়েকটি খাদ্যপণ্য দেয়া হচ্ছে। ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে এটা সংগ্রহ করতে হয় অনেকে পায় অনেকেই পায় না। এ অবস্থায় প্রত্যেক এলাকায় ন্যায্য মূল্যের দোকান খুলে সাধারণ মানুষকে নিত্যপণ্যের সরবরাহ করতে হবে। দেশে আর্মি বিজিবি পুলিশকে রেশন দেয়া হয় অথচ দেশের উৎপাদনকে যারা চালিয়ে রাখে সেই শ্রমজীবী মানুষের জন্য রেশন নেই।
নেতৃবৃন্দ বলেন, উচ্চ দ্রব্যমূল্যের চাপে মানুষ যখন দিশেহারা, তখন আবার নির্বাহী আদেশে সরকার গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। সরকার প্রতি মাসে বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। গত ১২ বছর ধরে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মালিকদের ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ৯৬ হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। আজ সেটার দায় জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সরকারের চরম ফ্যাসিবাদী দু:শাসনে মানুষের জীবন দুর্বিষহ। সভা-সমাবেশে বাধা, হামলা স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামক কালো আইনে বিরোধী মত-পথ দমন করা হচ্ছে। দেশটাকে পুলিশী রাষ্ট্রে পরিনত করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ ফ্যাসিবাদী দু:শাসন হটাতে রাজপথে লড়াই জোরদার করার জন্য জনগনের প্রতি উদাত্ত আহŸান জানান।