নারায়ণগঞ্জর শহরের চাষাঢ়ায় একটি রেষ্টুরেন্টে প্রকাশ্য গুলি ছুড়েছে ভবন মালিক আজাহার তালুকদার। এ সময় ওই রেষ্টুরেন্টের ম্যানেজার সফিউর রহমান কাজলসহ দুইজন গুলিবিদ্ধ হন। এসময় ঘটনাস্থলের চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চাষাঢ়ার আঙ্গুরা প্লাজায় ‘সুলতান ভাই কাচ্চি’ নামে রেস্টুরেন্টে। খবর পেয়ে পুলিশ, ডিবি ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এরআগেই শত শত উৎসুক জনতা ভীড় করে ঘটনাস্থলে।
লোকজন ভয়ে দিকবিদিক ছুটোছুটি শুরু করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আজাহার তালুকদার ও তার ভাই আজিজুল হককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে গেছে। এরপর পরিস্থিতি শান্ত হয়। আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। তবে তাৎক্ষনিক অপর আহতের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
ওই রেষ্টুরেন্টের অপর এক ম্যানেজার রিপন সাহা জানান, ভবন মালিক আজাহার তালুকদার রেস্টুরেন্টে এসে দোতলায় যান। সেখানে গিয়ে রেস্টুরেন্টের মালিকের সাথে কথা বলে চলে যান। কিছুক্ষন পর আবার ফিরে এসে হাতে থাকা পিস্তল থেকে ৬/৭ রাউন্ড গুলি করেন। এতে ম্যানেজার সফিউর রহমান কাজলের হাতে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। তবে তিনি বলতে পারেননি কেন কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।
গ্রেপ্তারকৃত আজিজুল হকের স্ত্রী শারমিন ডলি জানান, পানির বিল নিয়ে কথাকাটাকাটির জের ধরে এ ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে ‘সুলতান ভাই কাচ্চি’র মালিক শুক্কুর জানান, ভবন মালিক আজহার তালুকদার এসে বলেন, পানির বিল বাবদ আপনাকে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। আমরা ১০ লাখ টাকা ঋণ হয়ে গেছি। আমি বললাম ১০ টাকা কেনো দিবো? আমি তো আপনার কাছ থেকে দোকার নেই নাই।
আর আমি তো পানির বিল প্রতিমাসে দিয়েই যাই। পানিসহ আমার ৮০ হাজার টাকা ভাড়া। পানির জন্য ৫ হাজার, আর ভাড়া ৭৫ হাজার। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার সাথে পূর্ব কোন শত্রুতা ছিল না। শত্রুতা ছিল তারা ভাইয়ে ভাইয়ে।
তিনি আরও জানান, আমার বাড়িওয়ালা আজিজুল হক। তার কাছ থেকে আমি দোকান ভাড়া নিয়েছি। কিন্তু আজাহার তালুকদার তো আমার কাছে পানির বিল নিয়ে আসতে পারেন না। তিনি তার ভাইয়ের সাথে বুঝবে।
শুক্কুর আরও জানান, পানির বিল নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আজাহার আমাকে খারাপ ভাষায় গালমন্দ করে। পরে আমিও গালি দেই। এরপর সে বলে দাড়া আসতাছি। একথা বলে সে চলে যায়। পরক্ষনে এসে সে গুলি করে। এতে আমার ম্যানেজারসহ ৩জন আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ওসি আনিচুর রহমান জানান, ভবন মালিক আজাহার তালুকদার ও তার ভাই আজিজুল হককে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।