৫২’ এর সালে ভাষা আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে নির্মিত নারায়নগঞ্জের চাষাড়া শহীদ মিনার গুলো সারা বছর অযত্ন-অবহেলা ও অরক্ষিত অবস্থায় থাকে। সন্ধার নামার সাথে সাথে শুরু হয় কিশোরগ্যাং,ছিনতাইকারী ও পতিতাদের আড্ডা।
অভিযোগ রয়েছে, শহীদ মিনারের মূল বেদিতে সেন্ডেল পরে বসে ধুমপান করে এক শ্রেণীর তরুনরা। কেউ কেউ শহীদ মিনারের পেছনে বেদিতে দাঁড়িয়ে প্রসাব করে। এছাড়া প্রতিদিন সন্ধার পর ছিনতাইকারী ও পতিতাদের আড্ডা বসে এখানে। সরজমিনে দেখা যায়, শহীদ মিনারের মুল বেদিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে সিগারেটের প্যাকেট ও অসংখ্য উচ্ছিষ্ট অংশ,ময়লা আর্বজনায় ভরে আছে মিনারের বেদি, শহীদ মিনারের পেছনটা অস্থায়ী প্রসাবখানা।
শহীদ মিনারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় ছিনতাইকারী চক্র। চাষাঢ়া শহীদ মিনার ও সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকেই আনাগোনা থাকে ছিনতাইকারী চক্রের। প্রায়শই সাধারণ নিরীহ মানুষকে টার্গেট করে মোবাইল ও টাকাসহ মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারী চক্র। এছাড়া প্রায়ই কিশোর গ্যাংদের মধ্যেও হাতাহাতি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
শহীদ মিনারের আশেপাশের দোকান ব্যবসায়ীরা জানান,শহীদ মিনারে একদল নামধারী রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় ছিনতাই কার্যক্রম চলমান রয়েছে এমনকি নারী পাচারের মত অপরাধেও শেল্টার দিচ্ছে ওই প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ।
কিশোর গ্যাং কালচারের পেছনে স্থানীয় রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ও পেশাদার সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতাকেও দায়ী করছেন সমাজ বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, অবস্থা এখন এমন জায়গায় চলে গেছে যে, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলন জরুরি হয়ে পড়েছে।