বন্দরে নাশকতা প্রস্তুতি কালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতংক বিরাজ করে পালানোর সময় ২ জামায়াত নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই সময় পুলিশ উক্ত স্থান থেকে লালটেপ দ্বারা মোড়ানো বিস্ফোরিত ককটেলর অংশ বিশেষ ও ৫ টুকরা কাজ ভাঙ্গার অংশ বিশেষ জব্দ করা হয়।
গত বুধবার (১১ জানুয়ারী) রাত ৮টায় বন্দর উপজেলার ঝাউতলা এলাকার জনৈক আশরাফ উদ্দিন মিয়ার টিনসেড দোকান ঘরের সামনে অভিযান চালিয়ে ওই দুই জামায়াত নেতাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা জামায়াত নেতারা হলো বন্দর থানার নবীগঞ্জ এলাকার মৃত আলমাস আলী মিয়ার ছেলে বন্দর থানার ২৩,২৪,২৫,২৬ ও ২৭নং ওয়ার্ডের বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ভারপ্রাপ্ত আমির জাকির হোসেন (৫৪) ও বন্দর ঝাউতলা কলাবাগ এলাকার মৃত আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী মুরা সদস্য মোঃ শাহজাহান (৫০)।
এ ঘটনায় বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক আবুল হাসান হাওলাদার বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত দুই জামায়াত নেতাসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও অজ্ঞাত ৩০/৩৫ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস.আই মনিরুজ্জামান গ্রেপ্তারকৃত দুই জামায়াত নেতাকে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করেছে।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাত পৌনে ৮টায় বন্দর থানার এসআই আবুল হাসান হাওলাদারসহ সঙ্গীয় ফোস বন্দর থানার ডায়রী নং- ৪৪৫ মূলে বন্দর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জরুরী ডিউটি করা কালিন সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংবাদ পায় যে বন্দর ঝাউতলা এলাকায় নাসিক ২৩,২৪,২৫,২৬ ও ২৭নং ওয়ার্ডের বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ভারপ্রাপ্ত আমির জাকির হোসেন (৫৪) ও বন্দর ঝাউতলা কলাবাগ এলাকার মৃত আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী মুরা সদস্য মোঃ শাহজাহান (৫০)সহ আরো ১১ জন এজাহারভূক্ত আসামীসহ অজ্ঞাত নামা ৩০/৩৫ জন জামায়াত নেতাকর্মী নাশকতার জন্য উক্ত স্থানে সমবেত হয়েছে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে থানার ডিউটিরত এসআই আবুল হাসান হাওলাদার বিষয়টি উধ্বর্তন কর্মকতাকে অবগত করে ঘটনাস্থলে আসে।
ওই পুলিশ উল্লেখিত দুই জামায়াত নেতাসহ অজ্ঞাত নামা জামায়াত নেতাকর্মীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে পালানোর সময় উল্লেখিত ওয়ার্ডের জামায়াতের আমীর মো. জাকির হোসেন ও শুরা সদস্য মো. শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও বাকিরা কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি আবু বকর ছিদ্দিক জানান, নাশকতার উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে জনমনে আতংক সৃষ্টির ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
এ ঘটনায় জামায়াতের আমির ও একজন শুরা সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। যে কোন নাশকতা কর্মকান্ড ঠেকাতে বন্দর পুলিশ তৎপর রয়েছে।