নারায়ণগঞ্জের ১২নং ওয়ার্ডে বেড়েছে চোরের উপদ্রব। সিঁধেল চোরের পাশাপাশি গৃহকর্মী সেজেও বাসায় ঢুকে চুরি হচ্ছে। মাদকাসক্ত চোরের নজর মোবাইলসহ ছোটোখাটো জিনিসের দিকে। আর সংঘবদ্ধ একটি চোরচক্রের নজর মোটরসাইকেলসহ ভারী জিনিসের দিকে।
নারায়ণগঞ্জ সদরের ১২ নং ওয়ার্ড ডনচেম্বার এলাকায় দিনে-দুপুরে ঘটছে চুরির ঘটনা।ক্যামেরা,সাইকেল, ল্যাপটপ, মোবাইল, নগদ টাকা সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চুরি হয়ে যাচ্ছে। এই নিয়ে আতংক বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মাঝে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে এমন চুরির ঘটনা ব্যাপক বেড়ে গেছে। বিভিন্ন পেশার আড়ালে বা ছদ্মবেশে চুরি করছে চোরচক্র। কথায় আছে ‘চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি না পড়ে ধরা’। আর এই ‘চুরি বিদ্যার’ চর্চা হচ্ছে ব্যাপকহারে। অর্থাৎ, সূক্ষ্মভাবে চুরির ঘটনা ঘটিয়ে এবং ধরা পড়ার পরিস্থিতি এড়াতে প্রতিনিয়তই চক্রের সদস্যরা ব্যবহার করছে নিত্যনতুন কৌশল। দিনের বেলায় কেউ ভ্রাম্যমাণ ফল বিক্রেতা, কেউ অটোরিকশাচালক, কেউ মাছ বিক্রেতা আবার কেউ পুরনো জিনিসপত্র কেনার নামে শহরের অলিগলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এর মাঝেই সুযোগ পেলেই টার্গেট করা বাসাবাড়িতে ঢুকে ‘সর্বস্ব’ হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দিনে-রাতে এককভাবে বা সংঘবদ্ধভাবে চোরচক্রের সদস্যরা তৎপরতা চালাচ্ছে। দিনের বেলায় নানা পেশার ছদ্মবেশে বিভিন্ন বাসাবাড়ি ‘রেকি’ করে। সুযোগ বুঝে রাতে বা দিনে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে সর্বস্ব।
এলাকাবাসী জানান ‘বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সামাজিক অস্থিরতা, বেকারত্ব,মাদকাসক্ত এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের কারণেই এ ধরনের অপরাধের প্রবণতা বেড়েছে। এসব ক্ষেত্রে সামাজিক সচেতনতার প্রায়োজন। পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে সবার নিরাপত্তায় এগিয়ে আসতে হবে। খালি বাসা রেখে কোথাও না যাওয়া। অপরিচিত কারও দেখলে বা সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশকে খবর দেওয়া। এ ছাড়াও তালিকাভিত্তিক চোরচক্রকে গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এগিয়ে আসতে হবে।’