১২নং ওয়ার্ডের ডনচেম্বার এলাকায় সম্প্রতি চুরির ঘটনা বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে বেশ কয়েকটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে এক সাংবাদিক পরিবারের ঘরের জানালা দিয়ে ক্যামেরা,গিম্বল,নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। এর কিছুদিন আগে একই এলাকার একটি মুদি দোকানদারের সাইকেল ও ঘরে পালিত মুরগি চুরি হয়। এর কিছুদিন পর একজন ডাক্তারের বাসা থেকে নগদ টাকা ও ৭ ভরি স্বর্ন চুরি হয়েছে।এত চুরি ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ক্রিকেটার কোচ সুমনের বাড়ি নির্মানের ১ টন রড চুরি করে চোরেরা।
বর্তমানে রাতে পুলিশী টহল না থাকায় চোরের দল কৌশল পাল্টেছে চুরির। দিনের বেলা কিংবা রাতের শুরুতেই বিভিন্ন বাসা থেকে মোবাইল ফোন, কাপড়ছোপড় ও দামি জুতা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় চায়ের দোকান রয়েছে। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত এসব চায়ের দোকানে চোরের দল আড্ডা দিয়ে থাকে এবং চুরির প্ল্যান করে। চায়ের দোকানগুলোতে পুলিশী অভিযান না থাকায় এসব অপরাধ হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাত হলেই কয়েকটি এলাকায় বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবীদের আনাগোনা বাড়ে।খানপুর ডনচেম্বার সহ আশেপাশের এলাকায় গভীর রাতে বসে গাঁজা সেবনের আসর। দারিদ্র্য পরিবারে জন্ম নেওয়া এসব লোকজন মাদকাসক্ত হওয়ায় তারা এলাকায় ছোট ছোট চুরির কাজে জড়িয়ে পড়ছে।এছাড়া এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় এত দারোয়ান থাকার পরও কিভাবে এইরকম চুরির ঘটনা ঘটে তার প্রতি ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক। প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ না হলে এর পরিধি আরও বাড়বে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
এলাকার ভুক্তভোগীরা বলছেন, বাসা বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়লেও রাস্তা-ঘাটে-মোড়ে তেমন সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন না করা, পাড়া মহল্লায় আগের মতো পুলিশের নিয়মিত টহলের অনুপস্থিতির কারণে চোরদের উৎপাত বেড়ে গেছে।এইসকল চোরের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা সাইকেল,রড,সিমেন্ট,বালু,মোবাইল,হাসঁ-মুরগি সহ অন্যান্য জিনিসপত্র।
স্থানীয়রা জানান প্রশাসন যাতে অতিদ্রুত ১২নং ওয়ার্ডের চোর এবং এলাকার আশেপাশে অযথা ঘোরাফেরা করা ব্যক্তিদের যাতে নজরে রেখে সুষ্ঠু তদন্ত করে অতিশীঘ্রই আইনের আওতায় নিয়ে আসেন।