নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া সোনালী ব্যাংকের সামনে চলছে হকারদের রমরমা ব্যবসা। রাস্তা থেকে শুরু করে পুরো ফুটপাত যেন তাদেরই দখলে।
চাষাড়া সোনালী ব্যাংকের সামনের হকারদের ফলে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে যানজট আর এই যানজটের সুবিধার্থে একদল ছিনতাইকারী ও পকেটমার চক্র ভীড়ের মধ্য ধাক্কাধাক্কি করে ছিনিয়ে নিচ্ছে অসহায় মানুষের মোবাইল ও টাকা-পয়সা।
অনুসন্ধানে জানা যায়,প্রতিদিন পকেটমার ধরা হলেও পরে তাদের ছেড়ে দিলে পরেরদিন আবার সেই একই পেশায় পথে নামছে এই চক্র।এই চক্ররের পিছনে কাজ করছে তাদের গডফাদাররা যারা নাকি শহীদ মিনারে ভিতরে থেকে শেল্টার দিচ্ছে এই চক্রটিকে।
এই পকেটমার চক্রটি ধরা পড়ার পর তাদের সাথের সিন্ডিকেটের আরো কিছু পকেটমারের নাম বলেন যারা হচ্ছেন রেহেনা,আলো,ফতেয়া,পিংকিসহ আরো অনেকে।এই সিন্ডিকেটের মুলহোতা হলেন কুত্তা কালাম যার শেল্টারে এইসব পকেটমারেরা রাস্তায় সাধারন জনগনের সর্বস্ব কেড়ে নেয়। এই কুত্তা কালামের বউ হচ্ছে রেহেনা যাকে দিয়েও তিনি এই কাজ করিয়ে বেড়ান।
রফিক নামের একজন স্থানীয় ব্যাক্তি জানান,প্রতিদিন পকেটমার চক্রটি প্রথমে চাষাড়া শহীদ মিনারে সমাবেত হন পরে একেক জন একেক দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যান।আর এই চক্রটিকে শেল্টার দিয়ে থাকেন তাদের গডফাদাররা যারা নাকি এই পকেটমার চক্রটি ধরা পড়লে তাদের বিভিন্ন কৌশলে ছুটিয়ে নিয়ে যান। চক্রটি তাদের অপরাধ কার্জকর্ম শেষে চাষাড়া শহীদ মিনারে বসে ভাগ বাটোয়ারা করে থাকেন।
এছাড়া তিনি আরো জানান সোনালী ব্যাংকের সামনে একটি পিঠার দোকান রয়েছে যেখানে নাকি চক্রটি প্রতিদিন চুরি করা মোবাইলগুলো জমা দেন এবং তাদের এর বিনিময়ে চক্রটিকে মোবাইল প্রতি ১০০০ টাকা করে দেয়া হয়ে থাকেন।
ভুক্তভোগীরা জানান,ব্যাংকের সামনে পুলিশের গাড়ি বসে থাকার পরও তাদের পরোয়া না করে চুরি করে বেড়াচ্ছে এই চক্রটি। সোনালী ব্যাংকের সামনে থাকা কিছু হকার আড়ালে এই চক্রটির সাথে জড়িত। এই চক্রটির গডফাদাররা এদেরকে পুলিশে ধরিয়ে দিবে কিংবা মোবাইল উদ্ধার করে দিবে বলে কৌশলে ছুটান।
সুশীল সমাজের দাবি র্যাব,পুলিশ,গোয়েন্দা বিভাগ যদি এই চক্রটির শেল্টারদাতাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসেন তাহলে অতিশীঘ্রই সাধারন জনগন এদের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।