ফতুল্লার ইসদাইরে মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে মামুন (২২) নামক এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জয় চন্দ্র দাস (২২) কে গ্রেপ্তার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে তাকে ইসদাইর রেল লাইন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত জয় চন্দ্র দাস ফতুল্লা মডেল থানার ইসদাইর বাজার এলাকার জিকুর বাড়ীর ভাড়াটিয়া মৃত সুমন চন্দ্র দাসের পুত্র।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির (২) জানায়, মামলার এজাহারনামীয় গ্রেপ্তারকৃত জয় চন্দ্র দাস মামলার এজাহারনামীয় আসামি। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর দুইটার দিকে ইসদাইর রেল লাইন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়।
হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার(৫ ডিসেম্বর) বিকেল পাঁচটায় ফতুল্লা মডেল থানার ইসদাইর স্টেডিয়াম সংলগ্ন নুর ডাইংয়ের পেছনের মাঠে। এ সময় আহত হয় নুরনবী (২১) নামক অপর এক যুবক।
হত্যা কান্ডের একদিন পর নিহতের বাবা বাবুল হাওলাদার বাদী হয়ে এক নারী সহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে এবং অজ্ঞাত নামা আরো ৪-৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে ফতুল্লা মডেল থানায়।
হত্যাকান্ডের পরপর হাসপাতালে নিহতের বন্ধু শফিকুল জানায়,ঘটনার বিকেল চারটার দিকে তাকে ফোন করে নিহত শফিকুল।ফোন করে তার বাসার পেছনে আসে নিহত মামুন। পরক্ষনেই আসে নিহত মামুনের বন্ধু আহত নুরনবী। এর কিছুক্ষন পরেই সাইফুল,পায়েল, জয় সাদ সহ ১০-১৫ জন মামুন এবং নুরনবীকে পেয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে।
এতে দুজনই মারাত্নক আহত হয়। তাদের কে উদ্ধার করে শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে মারা যায় মামুন। আশংকাজনকবস্থায় নুরনবীকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
তিনি আরো জানান, কোরবানী ঈদের পূর্বে বড় ভাই এবং ছোট ভাই নিয়ে মারামারি হয় সাইফুল গ্রুপের সাথে। সে সময় তা স্থানীয় বড় ভাইয়েরা মিমাংসা করে দেয়। আজ বিকেলেও নুরনবীর সাথে এদের কথা কাটাকাটি হয়।এর জের ধরেই এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটায়।
আহত নুরনবী সাংবাদিকদের জানায়, ইসদাইর বাজারের পেছনের একটি মাঠে হামলাকারীরা গাঁজা সেবন করতো। আজ বিকেলে তা নিয়ে তাদের কে বকাঝকা করে মাঠ থেকে তাড়িয়ে দেয় নিহত মামুন। এনিয়ে সাইফুল- পায়েল গ্রুপের সন্ত্রাসীরা মামুন ও তাকে পেয়ে ছুরিকাঘাত করে।