নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া সোনালী ব্যাংকের সামনে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে ছিনতাই ও চুরির মত জঘন্য অপরাধ।
ব্যাংকের সামনে পিঠার দোকান, বটের দোকান ও অবৈধ মিশুক,অটো স্ট্যান্ডের ফলে যানজট সৃষ্টি হলে কিছু মহিলা ও পুরুষ পকেটমার ধাক্কাধাক্কি করে এক পর্যায়ে ব্যাগ থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছে মোবাইল,টাকাসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
২৫ ডিসেম্বর রোজ রবিবার সোনালী ব্যাংকের সামনে পুলিশ গাড়ি থাকা সত্ত্বেও মহিলা পকেটমার এক নারীর ব্যাগ থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে।
ভুক্তভোগী নারী ও পথচারীরা পরে ওই মহিলা দুই পকেটমারকে গনধোলাই দিয়ে মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এইসকল পকেটমারের হাত থেকে প্রতিনিয়ত সাধারন জনগন তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে।
ধরার পর ওই মহিলা পকেটমার তাদের সাথের সিন্ডিকেটের আরো কিছু পকেটমারের নাম বলেন রেহেনা,আলো,ফতেয়া,পিংকিসহ আরো অনেকে।এই সিন্ডিকেটের মুলহোতা হলেন কুত্তা কালাম যার শেল্টারে এইসব পকেটমারেরা রাস্তায় সাধারন জনগনের সর্বস্ব কেড়ে নেয়।
এইসকল পকেটমারকে গোপনে ব্যাংকের সামনে থাকা হকারেরা শেল্টার দিয়ে থাকে এবং চুরি করার সময় এরা হাতে নাতে ধরা পড়লে নানা অযুহাত দেখিয়ে ছেড়ে দিতে সাহায্য করে।
ভুক্তভোগী এবং স্থানীয় জনগন দুই মহিলা পকেটমারকে সাথে নিয়ে তাদের মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারে ব্যর্থ হলে তাদের প্রতি মামলা প্রদান করা হবে।
সুশীল সমাজের দাবী, র্যাব,গোয়েন্দা ও পুলিশ প্রশাসন যাতে অতিদ্রুত ব্যাংকের সামনে থাকা এইসকল হকারদের উচ্ছেদ করেন। এদের উচ্ছেদ করা হলে একদিকে নারায়ণগঞ্জ অনেকটা যানজট মুক্ত ও সাধারন জনগন চুরি ছিনতাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে।