কুমুদিনী বাগান উচ্ছেদ হওয়ার পর এখন মেট্রোহল ট্রাফিক অফিসের সামনে মুদি দুকানের আড়ালে অবৈধ লেগুনা স্ট্যান্ড বানিয়ে চলছে মাদক ব্যবসা।
মেট্রোহল ট্রাফিক অফিসের সামনে একটি বড় সিন্ডিকেট দিন-রাত মাদক ব্যবসা করলেও তারা ভ্রাম্যমান বলে জানা গেছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এরা দ্রুত মাদক বিক্রি করে সটকে পড়ে।এখানে দিনে রাতে বিক্রি চললেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছেনা পুলিশ।
নামধারী মাদক ব্যবসায়িরা ফেনসিডিল, মদ, বিয়ার, হেরোইন, ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের ব্যবসা করে অল্প সময়ের মধ্যে বিত্ত-বৈভবের মালিক হচ্ছে। এতে বলা হয়, গডফাদার, মাদক ব্যবসায়ী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তার কারণে নতুন নতুন মাদকসেবী তৈরি হচ্ছে। অবৈধ মাদকসেবীরা তাদের অর্থের যোগান দিতে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণ, গুম ও খুনসহ অন্যান্য অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। এ কারণে পারিবারিক ও সামাজিক নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।
উঠতি বয়সী যুবকরা বিশেষ করে স্কুল কলেজগামী ছেলেরা এ মরণ নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। কৌতূহল, পারিবারিক অশান্তি, বেকারত্ব, প্রেমে ব্যর্থতা, বন্ধুদের প্রচরণা, অসৎ সঙ্গ, নানা রকম হতাশা ও আকাশ সংস্কৃতির নেতিবাচক প্রভাবে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। যারা নেশা করে তারা জানে নেশা কোনো উপকারী বা ভালো কাজ নয়। এটি মানুষের জীবনীশক্তি নষ্ট করে দেয়।
দেশের তরুণ সমাজ মাদকের ভয়াবহ প্রভাবে বিপদগামী হচ্ছে। মাদকের নীল ছোবলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আমাদের আগামী প্রজন্ম। সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার প্রকট রূপের পেছনে মাদক অন্যতম বড় উপসর্গ হিসেবে দেখা দিয়েছে। মাদকাসক্তদের হিতাহিত জ্ঞান থাকে না, যেকোনো অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে বিবেক বাধা দেয় না। মিথ্যা কথা বলা তাদের একটি স্বাভাবিক বিষয়। কোনো ধরনের অপরাধবোধ তাদের স্পর্শ করে না। মাদকসেবনকারীর দেহ মন চেতনা, মনন, প্রেষণা, আবেগ, বিচারবুদ্ধি সবই মাদকের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এক গবেষায় দেখা গেছে, মাদকাসক্তের কারণে বিগত ১০ বছরে ২০০ মা-বাবা খুন হয়েছেন। দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা প্রায় ৭৫ লাখ এবং প্রতি বছরে এর পেছনে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে।