১২নং ওয়ার্ডের ডনচেম্বার এলাকায় অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে চোরের উপদ্রব। রাত নামলেই এখন এলাকার কোথাও না কোথাও ঘটছে একাধিক চুরির ঘটনা। খোয়া যাচ্ছে বাসাবাড়ির মালামালসহ গবাদিপশু। চোরেরা হানা দিচ্ছে ছোটখাটো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও। এমনকি রেহাই পাচ্ছে না মসজিদ, মন্দির। শীত নামার শুরুতেই চোরের এমন উপদ্রবে আতঙ্ক বিরাজ করছে জনমনে। হয়রানি এড়াতে অধিকাংশ ঘটনায় মামলা হয় না থানায়।
১২নং ওয়ার্ডে চোরের উপদ্রব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছিচকে চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় আতংকিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। বিশেষ করে ডনচেম্বার এলাকায় কয়েক দিনের ব্যবধানে পর পর কয়েকটি স্থানে চুরি সংঘটিত হলেও চোর চক্র রয়ে গেছে ধরা ছোয়ার বাইরে।
স্থানীয়রা বলছেন, মাদকের অবাধ বিস্তারের কারণে দিনদিন উঠতি বয়সী তরুণরা আসক্ত হচ্ছে। নেশার টাকার জোগান দিতেই জড়িয়ে পড়ছে চুরিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে।
এলাকাবাসী জানান, বেশকিছুদিন ধরে এ এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও বখাটে যুবকদের উৎপাত বেড়ে গেছে। ফলে সুযোগ পেলেই নানা অপরাধ প্রবণতা ঘটাচ্ছে অপরাধী চক্র। এতে বাসাবাড়ী, দোকানপাট খালি রেখে স্বস্তিতে থাকতে পারছেন না এলাকাবাসী। এতে জনমনে চোর আতংক বাড়ছে। এসব ঘটনায় পুলিশকে জানানো হলেও নেয়া হচ্ছে না প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপও।
চুরি, ছিনতাইসহ অপরাধ প্রবণতা রোধে পুলিশী টহল বৃদ্ধিসহ এলাকায় নিরাপত্তা ও শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার দাবী জানিয়েছেন ডনচেম্বার এলাকাবাসী।
এলাকার লোকজন কাজকর্ম করার জন্য বাসার বাইরে গেলে বাসার তালা কিংবা দরজা জানালা ভেঙ্গে চুরি, ছিনতাই ঘটছে। শান্তিতে বসবাস করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।