১২নং ওয়ার্ডের ডনচেম্বার এলাকায় দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে চোরের দৌরাত্ম্য৷ রাত হলেই বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে ঘটছে চুরির ঘটনা৷ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয়রা, এমন চুরির আতঙ্কে দিনরাত্রি পার করছেন তারা। গত একমাসে মাসে ডনচেম্বার এলাকার তিনটি বাড়িতে রাতের আধারে দরজা ভেংগে কিংবা জানালা দিয়ে গয়নাপত্র,ক্যামেরা,মোবাইল,নগদ টাকা চুরির ঘটনা ঘটছে৷ এমন তৎপরতা ঠেকাতে এখন রাত জেগে বাড়ি পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয়রা।
এইসকল চোরের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা রড,সিমেন্ট,বালু,মোবাইল,সাইকেল,ক্যামেরা,গিম্বল,স্বর্ন,নগদ টাকাসহ গৃহপালিত পশু পাখিও।
রাতের আঁধারে পরিবারের সকল সদস্যরা যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন টাকা, গয়না,ক্যামেরা,সাইকেল,রড,বালুর মত গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে চক্রটি৷ অনেকেই পুলিশের কাছে আটক হলেও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি তাদের জামিনের ব্যবস্থা করেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
ওই এলাকার সাংবাদিক,ব্যবসায়ী, দোকানদারের বাড়িতেও এমন চুরির ঘটনা ঘটেছে৷ হঠাৎ বাড়িতে চুরি হয়ে পথে বসেছেন এমন কয়েক জন ভুক্তভোগী সদর থানায় অভিযোগ করলেও এতে কোনো সুরাহা পাননি। ফলে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে চক্রটির সদস্যরা৷
নাম না প্রকাশ করার শর্তে একাধিক ভুক্তভোগী জানান, চুরির ঘটনায় আমরা মামলা করার পর তদন্তকারী কর্মকর্তাদের আসামি গ্রেফতার বা মালামাল উদ্ধারের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা শুধু বলেন তদন্ত ও গ্রেফতার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আমরা মামলার কোন সুরাহা পাইনা। দিনের পর দিন থানার বারান্দায় ঘুরতে থাকি।