নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বসছে শাহজাহানের ভাসমান জুয়ার আসর। কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, তরুনসহ বিভিন্ন পেশার ব্যবসায়ীরা জড়িয়ে পরছে এ জুয়ায়। প্রতিটি জুয়ার আসরে উড়ছে হাজার হাজার টাকা। মাদকের মত জুয়ার ছোবল এখন নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র স্থানে। এ খেলা খেলে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে অনেকে। সৃষ্টি হচ্ছে পারিবারিক অশান্তি।
মহানগরীর কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকার বিআইডব্লিউটিএ ফ্লোটিং ওয়ার্কাস ইউনিয়ন সংলগ্ন পতিত ভূমিতে বেশ ক’বছর যাবৎ বোর্ড বসিয়ে লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা হচ্ছে। সদর থানার স্ট্যান্ড এলাকার ওই বোর্ডে দিনরাত অবিরাম জুয়া খেলার পাশাপাশি মাদক ব্যবসা হয়। তবে বর্তমানে জুয়ারী শাহজাহান জিমখানা লেক পাড় কাটের দু’তলায় জুয়ার আসর বসিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।এছাড়া শহরের কুতুবপুর,হাজীগঞ্জ,ইসদাইর,পাগলা,ফতুল্লা,গলাচিপা,জিমখানা সহ বিভিন্ন এলাকায় চলে শাহজাহানের ভাসমান জুয়ার আসর।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এখানে বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও অসাধু প্রকৃতির লোকজন এসে লোক চক্ষুর আড়ালে লাখ লাখ টার জুয়ার আসর বসায় এবং রাতভর মরণ নেশা ইয়াবাসহ মাদক দ্রব্যের সেবন ও সরবরাহ করে থাকে।
এতে করে যুবসমাজ বিপথগামী হওয়ার আশঙ্কাও করছে স্থানীয় সচেতন মহল। আর এই অবৈধ জুয়া ও নেশার অর্থ সংগ্রহের কারণেই সমাজে নানাবিধ অপরাধ কর্মকান্ড সংঘঠিত হয়ে থাকে।
জুয়ার আসরে পুলিশ হামলা দিলেও তাৎক্ষনিক সেখান থেকে সবাই পালিয়ে গেলেও কিছুক্ষন পর বড় শাহজাহান পুলিশ প্রশাসন কে মেনেজ করে আবার চালু করে এই জমজমাট জুয়ার আসর।
জানা যায় কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তির ছত্রছায়ায় বড় শাহজাহান এই আসর পরিচালনা করে থাকেন বিনিময়ে অই প্রভাবশালী ব্যাক্তি বর্গকে মাস শেষে কিছু মাসোয়ারা দিয়ে থাকেন।
সূত্র মতে, বিভিন্ন এলাকার জুয়ারিদের কাছে শাহজাহান ভ্রাম্যমান জুয়ার সম্রাট হিসেবে পরিচিত।আর তার এই জুয়ার আসরের ক্যাশিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাসুম নামের এক নামধারী বিএনপি নেতা।সে শহরের কালীরবাজার, টানবাজারের ইয়ার্ণ মার্চেন্ট অফিস, বাসষ্ট্যান্ড,হাজীগঞ্জ,সাইনবোর্ড,ভূইঘর, জালকুঁড়ি ও নতুন জিমখানা,লঞ্চ টার্মিনালের জুয়ার আসরের মূল হোতা। সে গুলশান সিনেমা হলের কালচারাল ক্লাব ভাড়া নিতে চাইলেও ব্যর্থ হয়।