ফতুল্লার ইসদাইরে মাদক সেবন কে কেন্দ্র করে মামুন (২২) নামক এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা বাবুল হাওলাদার বাদী হয়ে এক নারী সহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত নামা আরো ৪-৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে ফতুল্লা মডেল থানায়।
হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেল পাঁচটায় ফতুল্লা মডেল থানার ইসদাইর স্টেডিয়াম সংলগ্ন নুর ডাইংয়ের পেছনের মাঠে।এ সময় আহত হয় নুরনবী (২১) নামক অপর এক যুবক।
হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামী কে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মামলার এজাহার নামীয় আসামী ফতুল্লা মডেল থানার ইসদাইর এলাকার এডঃ হাসনাতের বাড়ীর ভাড়াটিয়া ইসমাইল হোসেনের পুত্র মোঃ সামিউল ওরফে বুলেট (২২) ও ইসদাইর বাজার এলাকার সিরাজ কসাইয়ের পুত্র স্বপন (২০)।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির (২) জানায়, মামলার এজাহারনামীয় গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামীর মধ্যে প্রথমে সামিউল ওরফে বুলেট গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় সেমবার রাতে স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের কে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
নিহতের বন্ধু শফিকুল জানায়, সোমবার বিকেল চারটার দিকে তাকে ফোন করে নিহত শফিকুল।ফোন করে তার বাসার পেছনে আসে নিহত মামুন। পরক্ষনেই আসে নিহত মামুনের বন্ধু আহত নুরনবী। এর কিছুক্ষন পরেই সাইফুল,পায়েল, জয় সাদ সহ ১০-১৫ জন মামুন এবং নুরনবীকে পেয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে।
এতে দুজনই মারাত্নক আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে মারা যায় মামুন। আশংকাজনকবস্থায় নুরনবীকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
তিনি আরে জানান, কোরবানী ঈদের পূর্বে বড় ভাই এবং ছোট ভাই নিয়ে মারামারি হয় সাইফুল গ্রুপের সাথে। সে সময় তা স্থানীয় বড় ভাইয়েরা মিমাংসা করে দেয়। আজ বিকেলেও নুরনবীর সাথে এদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরেই এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটায়।
আহত নুরনবী সাংবাদিকদের জানায়, ইসদাইর বাজারের পেছনের একটি মাঠে হামলাকারীরা গাঁজা সেবন করতো। আজ বিকেলে তা নিয়ে তাদের কে বকাঝকা করে মাঠ থেকে তাড়িয়ে দেয় নিহত মামুন। এনিয়ে সাইফুল-পায়েল গ্রুপের সন্ত্রাসীরা মামুন ও তাকে পেয়ে ছুরিকাঘাত করে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ শেখ রিজাউল হক দিপু জানায়, হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। এজাহারনামীয় দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত অপর আসামীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।