নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে বন্ধুদের নিয়ে নিজ স্ত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’ করেন স্বামী। সে অভিযোগ করা মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর থেকেই আসামিরা ছিলেন পলাতক। দীর্ঘ ১৪ বছর পর তাদের গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লার মেঘনা ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে তানভীর আহমেদ শুভ ও রাসেল নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে র্যাব-১১-এর মিডিয়া অফিসার রিজওয়ান সাঈদ জিকু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ২০০৭ সালের ১০ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে ওই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আসামি তানভীর ২০০৬ সালে এই নারীকে বিয়ে করেন। তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় প্রায়ই ঝগড়া লাগত।
পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে স্বামী তানভীর তার বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন। পরে ওই নারী সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
সাইজ জিকু জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, নারায়ণগঞ্জ আদালতে বিচার শেষে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি দুই আসামিসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
মামলার পর আসামিরা ৩-৪ মাস জেল খাটার পর জামিনে মুক্ত হয়ে পালিয়ে যান। প্রধান আসামি তানভীর গ্রেপ্তার এড়ানোর কৌশল হিসেবে সাংবাদিকতা পেশাকে বেছে নেন এবং বিভিন্ন পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন।
গ্রেপ্তার অন্য আসামি রাসেল নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানা এলাকায় নতুন ঠিকানায় বসতি স্থাপন করে এবং গরুর খামারির কাজ করতেন।
তারা উভয়েই বিগত দীর্ঘ ১৪ বছর মামলাটিতে পলাতক ছিলেন। ওই মামলার আরেক আসামিকেও গত ২৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১।