নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে নৈশ প্রহরী হত্যার ৩দিনের মাথায় মূল আসামি মোহাম্মদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। ২৬ নভেম্বর শনিবার বিকেলে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার, সহকারী পরিচালক এএসপি রিজওয়ান সাঈদ জিকু।
তিনি জানান, গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি, আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জের একটি আভিযানিক দল ২৬ নভেম্বর দিবাগত রাতে ডিএমপি, ঢাকা’র দক্ষিণখান থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আড়াইহাজার এলাকায় চাঞ্চল্যকর “নৈশ প্রহরী হত্যা মামলার একমাত্র এজাহারভূক্ত পলাতক আসামী হোসেনকে মামলা হওয়ার ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, ভিকটিম হোসেন আড়াইহাজার থানাধীন উচিৎপুর বাজারে নৈশ প্রহরীর দায়িত্বে ছিলেন। গত ২৩ নভেম্বর ভোরে উচিৎপুর বাজারস্থ রুস্তম আলীর দোকানের সামনে গ্রেপ্তারকৃত আসামী এবং ভিকটিম বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামীর হাতে থাকা টর্চলাইট দ্বারা ভিকটিমকে উপর্যপুরি আঘাত করে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের পর হতেই আসামী হোসেন কৌশলে আত্মগোপন করে। এই পাশবিক ও নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনাটি বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের শ্যালক মোঃ লায়েছ বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৩১ তারিখ- ২৩ নভেম্বর ২০২২। উক্ত হত্যাকান্ডের পর হতে এজাহারনামীয় পলাতক আসামী মোঃ হোসেন (৬০) কৌশলে আত্মগোপন করে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১ এর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত পলাতক আসামী মোঃ হোসেনকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করে।
পরবর্তীতে অদ্য ২৬ নভেম্বর ২০২২ইং তারিখে গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এজাহারভূক্ত পলাতক আসামীকে ডিএমপি, ঢাকা’র দক্ষিনখান থানা এলাকায় সনাক্তপূর্বক গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামী বর্ণিত হত্যাকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে।
পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে আড়াইহাজার থানার অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।