নারায়ণগঞ্জ শহরে চোরের উপদ্রব দিন দিন বেড়েই চলেছে।চোরের সংখ্যা এত পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে যে এখন এলাকার মানুষ শান্তিতে রাতে ঘুমাতে পর্যন্ত পারছেনা। এলাকায় সিসি টিভি ও দারোয়ান থাকার পরও তাদের উপর বিশ্বাস রেখেও ঘুমানো অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে।
গতকাল (২২ নভেম্বর) রাত তিনটার চাষাড়া রাইফেল ক্লাবের সামনে, শীতল কাউন্টারের পাশে নারায়নগঞ্জ জর্জ কোটের উকিল ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা মালার বাড়িতে তিন জনের একটা চোরের দল গেট টপকিয়ে চুরি করতে প্রবেশ করলে তার কন্যার চিৎকার শুনে তিনি বের হয়ে দেখেন টহল পুলিশের সাথে চোরের ধস্তাধস্তিতে গেট ভেঙে গেছে কিন্ত পুলিশ চোরদের ধরতে ব্যার্থ হন।
তবে এসমস্ত চুরির ঘটনা অধিকাংশ পুলিশকে জানানো হয় না। ভুক্তভোগীরা জানান, থানায় চুরির মামলা করতে গিয়ে উল্টো নানা উটকো বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। সে কারণে এর সঠিক পরিসংখ্যানও পাওয়া যায়না। কিন্ত প্রায় প্রতিদিন শহরের কোথাও না কোথাও চুরি সংগঠিত হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। চোরের অত্যাচারে সাধারণ নাগরিকরা অতিষ্ট হয়ে ওঠেছেন। শহরে মাদকসেবীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এ ধরনের চুরির ঘটনা ঘটছে এবং মাদকসেবীরাই এসব চুরির সাথে জড়িত বলে শহরবাসীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। শহরের চুরি ও মাদক বন্ধে তারা পুলিশের নিকট বিশেষ অভিযান পরিচালনারও দাবী জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিনই শহরের কোথাও না কোথাও চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে। ইদানিং শহরের বেশ কিছু এলাকার হেরোইন ও মাদক সেবীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। শহরবাসীর ধারণা, মাদকসেবীরাই এ ধরনের চুরির ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। এলাকার কিছু চোরের শেল্টারদাতাদের ভয়ে সাধারন মানুষ থানায় অভিযোগ করতে ভয় পান ও সুষ্ঠুভাবে বিচার পান না।
সারা নারায়ণগঞ্জ জুড়ে যেন চুরির উৎসব চলছে। সম্প্রতি চোরের উপদ্রপ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, চোর এবং মাদকসেবীদের ধরতে পুলিশী অভিযান চলছে। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, নেশাসেবী এসব চোরদের ধরলে আইনের ফাঁকে ক‘দিনের মধ্যে জামিনে বের হয়ে আবার সেই পুরনো ব্যবসায় ঢুকে পড়ে।